সুনীত হালদার, হাওড়া: গর্ভজাত সন্তান বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। হাওড়ায় গ্রেফতার এক দম্পতি। শিশুবিক্রির তদন্ত করতে গিয়ে দালালচক্রের হদিশ মিলেছে বলেও খবর। তাতে আর এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Howrah Sankrail Police)। তিনি গোটা চক্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে (Child Trafficking Racket)। 


শিশুবিক্রির তদন্ত করতে গিয়ে দালালচক্রের হদিশ মিলেছে বলেও খবর


হাওড়ার (Howrah News) সাঁকরাইলের (Sankrail News) ঘটনা। সেখানকার উলা গ্রামের বাসিন্দা রকত্না বর এবং বিশ্বজিৎ বর। তাঁর স্বামী-স্ত্রী।  দুই জনকেই গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দালাল চক্রের সঙ্গে সংযোগ থাকায় অভিযুক্ত শ্য়ামলী নস্করকেও। ওই দম্পতির দুই সন্তান বিক্রিতে তিনিও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্না এবং বিশ্বজিতের চার ছেলেমেয়ে। তেমন কাজকর্ম করেন না বিশ্বজিৎ। মূলত বেকারই তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। লকডাউনের সময়, ২০২০ সালে তাঁদের এক কন্যাসন্তান হয়। উলুবেড়িয়ায় ওই কন্য়াসন্তানকে বিক্রি করে দেন রত্না এবং বিশ্বজিৎ। তবে সেখানেই শেষ নয়। 


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: "বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে ভাবে ন্যায়ের জন্য লড়াই করছেন প্রশংসনীয়", মন্তব্য সুকান্তের


পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস দেড়েক আগে ফের রত্না এবং বিশ্বজিতের একটি পুত্রসন্তান হয়। সেই ছেলেকে তাঁরা নলপুরে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আরও দুই শিশুকে ওই দম্পতি বিক্রি করে দিতে ওই দম্পতি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও ভাবে তা টের পেয়ে যান আশেপাশের লোকজন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।


স্থানীয়দের তরফে বুধবার রাতে সাঁকরাইল থানায় খবর যায়। গোটা ঘটনা জানতে পারে রত্না এবং বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশু বিক্রির দালাল চক্রের সঙ্গে সংযোগ থাকার অভিযোগে শ্যামলী নামের আর এক মহিলাকে নলপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হয়।


স্থানীয়দের তরফে বুধবার রাতে সাঁকরাইল থানায় খবর যায়, তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ


পুলিশের তরফে ধৃতদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অফ চিলড্রেন-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের আপাতত পাঁচদিনের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।