সুনীত হালদার, জগৎবল্লভপুর : শীতের রাতে জগৎবল্লভপুরের মন্দির থেকে সোনার গয়না চুরি। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী টায়ার জ্বালিয়ে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।
জগৎবল্লভপুর থানা এলাকার মুন্সিরহাট নরেন্দ্রপুর আনন্দমঠ আশ্রমের ঘটনা। গতকাল গভীর রাতে কে বা কারা আনন্দমঠের মন্দিরে কালী মূর্তির সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সোনা ও রুপোর গয়না সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়েছে।
আজ সকালে চুরির খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। তাঁরা হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির দাবিতে গ্রামবাসী রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। জগৎবল্লভপুর এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, রাতে পুলিশের নজরদারি না থাকায় চুরির উপদ্রব বাড়ছে এলাকায়।
গত বছর নভেম্বর মাসে এই হাওড়াতেই চুরির চেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন খোদ বাড়ি মালিক।
ভর সন্ধেয় পাঁচিল টপকে ঢুকছিল চোর। তারপর চারদিক দেখে সোজা বাড়ির মধ্যে। ডোমজুড়ে (Domjur) ক্যামেরাবন্দি হয় এই ঘটনা। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে (Delhi) বসে সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Camera) ছবি দেখে থানায় খবর দেন বাড়ির মালিক। তাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে চোর।
ডোমজুড়ে ক্যামেরাবন্দি চুরি: মাথায় গামছা বেঁধে, হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাঁচিল টপকে বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢোকে চোর। তারপর দরজার তালা ভেঙে চুপিসারে ঘরের ভিতরে সবটাই নিপুণভাবে সেরে ফেলেছিল দুষ্কৃতী। কিন্তু বাধ সাধে সিসি ক্যামেরার (CCTV Camera) নজরদারি। হাওড়ার বাঁকড়ার বাড়িতে ঘটে চলা এই পুরো ঘটনাই দিল্লিতে বসে মনিটর করছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিক অশোককুমার নাগ। তড়িঘড়ি ডোমজুড় থানায় খবর দেন তিনি। ফোন করেন প্রতিবেশীদেরও। হাতেনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত রাহুল রহমান মল্লিক।
সিআরপিএফের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Second in Command of CRPF) অশোককুমার নাগের পোস্টিং দিল্লিতে। তাঁর হাওড়ার (Howrah) বাড়িতে কেউ থাকেন না। সেই সুযোগেই হানা দিয়েছিল চোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, আলমারি ভেঙে ফেলা হয়। তবে, বাথরুমের কল, শাওয়ার থেকে শুরু করে বহু মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করলেও তা নিয়ে যেতে পারেনি অভিযুক্ত।