হাওড়া : কখনও বাড়ির কার্নিশের ওপর দিয়ে হেঁটে সটান ব্যালকনিতে পৌঁছে যা চোর! ঘরের ভিতরে সিঁড়ি বেয়ে রওনা দিল ওপরের দিকে! ছবিতে চোরকে মার্ক করতে হবে। সিসিটিভি (CCTV Footage)থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এই ছবি গত ২২ অগাস্ট রাত প্রায় পৌনে তিনটের। আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি গোডাউনে হানা দিয়েছে চোর। খালি গা। পরনে বারমুডা। অন্ধকার গোডাউনে কোথায় কী রাখা আছে, টর্চের আলোয় তন্নতন্ন করে দেখে নিচ্ছে সে। সিসিটিভি থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এই ছবিও গত গত ২২ অগাস্টের। সময় প্রায় রাত দুটো বেজে ১০ মিনিট। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুখে রুমাল বেঁধে মিষ্টির দোকানে হানা দিয়েছে চোর।
জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া (Howrah Theft) এলাকায় পরপর চুরির অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১০ দিনে ৭-৮ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। মুদির দোকান, মিষ্টির দোকান, স্টেশনারি দোকান ছাড়াও কালী মন্দির ও রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়িও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ।চুরির ঘটনা সিসি ক্যামেরাবন্দি হলেও এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : Howrah: ৪ মাস ধরে বন্ধ জুটমিল, প্রতিবাদে সিটু-র নেতৃত্বে পথ অবরোধ শ্রমিকদের
গত কয়েকদিনে জগতবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সন্ধ্যাবাজার এলাকায় একের পর এক দোকানে চুরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গভীর রাতে রাস্তার ধারে দোকানের টালি সরিয়ে অথবা পিছনের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাবতীয় টাকাপয়সা এবং দামী জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিচ্ছে চোর। একের পর এক মিষ্টির দোকান, মুদি দোকান এবং স্টেশনারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে যায়। আবার কিছুদিন আগেও কালীমন্দিরের তালা ভেঙ্গে সোনার গয়নাগাটি এবং বাসনপত্র চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকার জন্য বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। মন্দির ও গোডাউনে চুরির ঘটনায় হাটাল এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুধুমাত্র দোকান অথবা মন্দিরে চুরি নয়, দিন দুয়েক আগে এলাকা থেকে ছোট ম্যাটাডোর গাড়ি পর্যন্ত চুরি হয়ে যায়। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার ছোট ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা। এলাকার ব্যবসায়ীরাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার পাশাপাশি পুলিশের কাছে চুরির সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেন।
একে কার্যত লকডাউনে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিল। সারাদিন দোকান খোলা রাকা যায়নি দীর্ঘদিন। তার ফলে এমনিই পুঁজিতে টান ব্যবসায়ীদের। তার উপর এই ঘটনা ! মোটামুটি থরহরিকম্প এলাকা ব্যবসায়ীরা। অনেকের ধারণা, এর পিছনে হাত আছে বড়সড় কোনও গ্যাংয়ের। তবে পুলিশের অনুমান, চুরির নেপথ্যে কোনও বড়সড় গ্যাং নয়, এটা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাজ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, এই সব চুরির পিছনের ছিঁচকে চোরের হাত আছে। কোন সংগঠিত গ্যাং কাজ করছে না। চোরকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে। এলাকায় রাতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। এখন দেখার কবে ধরা পড়ে চোর। সেদিকেই তাকিয়ে আছে এলাকার বাসিন্দারা।