সুনীত হালদার, রুমা পাল ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, হাওড়া : হাওড়া পুরসভার ( Howrah Municipal Corporation ) কাজ নিয়ে নবান্নের বৈঠক থেকে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) । এবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ শোনা গেল শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যর ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির মুখে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার হাওড়া পুরসভা এলাকায় উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়কে নজরে রেখে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই মিটিংয়ের পরেই পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
শিবপুরের বিধায়কের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'কাজের গতি এত স্লো কেন সেটা তো বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে হয়তো ব্যক্তিগত কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে।' মনোজের অভিযোগ, 'যে কটা বেআইনি বহুতল আছে, আমার শিবপুরে যে কটা আছে, সবকটার তালিকা কর্পোরেশনকে দেড়-দু'বছর আগে থেকে দেওয়া আছে। যখন আমি নিজেই দিয়ে রেখেছি, তাহলে কে বাধা দিচ্ছে, কে কাজ করছে না সেটা তো উনিই বলতে পারবেন। কেন করছে না?'
পাল্টা হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দাবি, 'সব থেকে বেশি কাজ শিবপুরে হয়েছে, আমি পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দেব। আমার কাছে দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুর, মধ্য হাওড়া এবং আমাদের আরেকটা যে বিধানসভা আছে উত্তর হাওড়া, আমার কাছে এই ৪টে বিধানসভার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আমরা সব জায়গায় সমানভাবে যেখানে যেমন প্রয়োজন সেখানে সেরকম আমরা উন্নয়নের কাজ করেছি।'
২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। এরপর, ২০১৮-র ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করতে ২০২১-এর ১২ নভেম্বর বিধানসভায় হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল পাস করায় রাজ্য সরকার। কিন্তু, সেই বিলে, তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সম্মতি না মেলায় থমকে যায় ভোট প্রক্রিয়া। পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে যায় প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে। প্রায় ৬ বছর ধরে এই টানাপোড়েনে ভোট হয়নি একবারও। হাওড়া পুরসভায় ভোট করানোর ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি জটিলতা নেই বলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন :