সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ায় উদ্ধার হওয়া মুণ্ডহীন দেহের পরিচয়ের জানতে পারল পুলিশ। হদিশ মিলেছে মুণ্ডটিরও। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতের স্ত্রী সহ তিনজনকে।
যুবকের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধার হাওড়ায়
দশমীর দিন হওড়ার সলপ থেকে উদ্ধার হয়, যুবকের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন মৃতদেহ। তার তিনদিন পর, ডোমজুড়ের নিবড়ায় খোঁজ মিলল কাটা মাথার। খুনের অভিযোগে, যুবকের স্ত্রী ও এক আত্মীয় সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুরেশ সাউ। তিনি দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মচারী ছিলেন। এছাড়াও দুটি বাসের মালিক তিনি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৃত যুবকের একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
সম্প্রতি, এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সুরেশের বিরুদ্ধে। সেই আক্রোশেই, তরুণীর দাদা, সুরেশকে খুন করে বলে অভিযোগ। একাজে, তরুণীর দাদাকে সাহায্য করে, সুরেশের বাসের কেয়ারটেকার। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, দশমীর দিন বাসের গ্যারাজে যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর মোটরবাইকে চেপে মাথা ও ধড় দুটি পৃথক বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ ফেলা হয় সলপে, একটি ঝোপের মধ্যে। আর মাথাটি ফেলা হয়, ডোমজুড়ের নিবড়ায় একটি চায়ের দোকানের পিছনে। শুক্রবার ধৃতদের সেখানে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি মাথা।
বউদির ঘর থেকে উদ্ধার দেওরের মৃতদেহ
দার্জিলিঙের খড়িবাড়িতে বউদির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দেওরের মৃতদেহ! স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে, মূতঙ্গরাম মুর্মু নামে ওই যুবকের দাদার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে মাঝেমধ্যে বউদির সঙ্গে থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকালে, বৌদি লক্ষ্মী মুর্মুর ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ। মৃতের শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মৃতের বৌদি। তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোয়াঁশা। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি করছেন তাঁরা।