সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা :  প্রথম দিনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কলকাতারই এক পরীক্ষাকেন্দ্রে। আর এই ঘটনার পরই এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। 

ঠিক কী ঘটেছিল ? 

বেলঘরিয়ার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ভাষআর পরীক্ষা দিচ্ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। সেখানেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা সংসদের নজরে আসতেই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্কুলের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীর এদিনের পরীক্ষা তো বটেই, এবছরের মতোই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। 


নিয়মানুসারে,  কোনও পরিক্ষার্থী যদি পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর বা চত্বরে মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়েন ,  তবে তার গোটা পরীক্ষা বাতিল করা হবে এক বছরের জন্য। সেই মতোই এই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হল। 


মাধ্যমিক থেকে শিক্ষা নিয়ে  এবার উচ্চমাধ্যমিকের প্রতিটি প্রশ্নপত্রেও আছে  ইউনিক সিরিয়াল নম্বর। প্রশ্নপত্রের ডানদিকে উপরে আছে সেটি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই নতুন নিয়মের কথা জানানো হয়েছে আগেই।  প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র দেখে উত্তরপত্রেও ওই সিরিয়াল নম্বর লিখতে হচ্ছে। সেটা যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা করেন, তা নিশ্চিত করতে হচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষকদের।  সংসদ সূত্রে খবর, কেউ যদি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেন, তাহলে ওই সিরিয়াল নম্বর দেখে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে এই নিয়ম চালু করা হয়।   

শুক্রবার শুরু হয়েছে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক। পরীক্ষা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।  পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। গতবারের থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬৩ হাজার। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, পরীক্ষা চলবে সকাল ৯টা ৪৫ থেকে - দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৩৪১টি কেন্দ্রে। রাজ্যে স্পর্শকাতার কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৬ টি। অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর।  বেশ কিছু কেন্দ্রে থাকছে ঐচ্ছিক মেটাল ডিটেক্টর (ইনভিজিলেটর চাইলে এই মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন)। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে থাকবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। সব পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান প্রবেশ পথ ও ভেনু সুপারভাইজারের ঘরে CCTV থাকবে। ১ মাস পর্যন্ত স্টোর করা থাকবে সব CCTV ফুটেজ।  


আরও পড়ুন :


পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে হলে নিষিদ্ধ কী কী?