রেজিনগর : বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরে এবার দল ঘোষণার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন হুমায়ুন কবীর। সোমবার রেজিনগরে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ চত্বরেই তাঁর সভা রয়েছে। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ওইদিন নতুন দল ঘোষণা করবেন হুমায়ুন। এনিয়ে হুঙ্কার ছেড়ে ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, "মুর্শিদাবাদ জেলার রেকর্ড সমাবেশ হবে। আজ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও নেতা এত সংখ্যক লোক...আপনারা দেখে নেবেন ২২ তারিখে। অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। মহকুমা শাসকের অনুমতিও পেয়ে গিয়েছি। বেলডাঙা থানার পুলিশেরও অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। এত পরিমাণ লোক হবে মুর্শিদাবাদ জেলার...স্বাধীনতার পর যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে সভা-সমিতি হয়েছে, সমস্তকে অতিক্রম করবে, রেকর্ড করবে।"
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ বলেন, "হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কোনও মুখই লাগাতে চাই না। কোনওদিন ৯০টা, কোনও দিন ১৩০টা। ২৯৪টায় প্রার্থী দিন না ভাই...কে বারণ করেছে ? আলোচনা তো হবে রেজাল্টের পর বিকালে। বিজেপি গতবার তৃণমূল থেকে কয়েকজনকে নিয়ে গিয়েছিল। চার্টার্ড ফ্লাইট এসেছিল নিয়ে যেতে। যারা চার্টার্ড ফ্লাইট গিয়ে বলেছিলেন এবার বিজেপি আসছে, তাঁরা ভোটের পর দিদিকে ফোন করেছেন, চার্টার্ড ফ্লাইট দরকার নেই। দুটো অটো পাঠাবেন ? আমরা আবার ফিরে যাব।"
২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের মাথাব্য়থার কারণ হয়ে উঠেছেন সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রথমে বাবরি মসজিদের শিলান্য়াস। আর সোমবার সেই প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জমির কাছেই সভা নতুন দল ঘোষণা করবেন তিনি। যা নিয়ে ফের তৃণমূলকে চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। হুমায়ুন বলেছেন, "২২ তারিখে বেলা ১২ টা থেকে আমার নতুন দলের ... আমি মানুষের সামনে রাখব। আগামী ২০২৬ এর বিধানসভায় আমার প্রধান টার্গেট। পাখির চোখ বলতে পারেন--- বর্তমান যারা শাসকে আছে তাদের মেজরিটিতে পৌঁছতে না দেওয়া।"
সেই সঙ্গে বারবার তিনি জোটের বার্তা দিচ্ছেন ISF-এর নৌশাদ সিদ্দিকি থেকে মিমের আসাদউদ্দিন ওয়েসির উদ্দেশে। মিমের সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে? এনিয়ে হুমায়ুন বলছেন, তারা অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলছে। চেষ্টা করছে। ২২ তারিখ পার হতে দিন, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যে কেউ আমার সঙ্গে দরজা খোলা থাকবে। সেখানে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য যে কেউ ডাকলে আমি তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, হুমায়ুনের লক্ষ্য় পরিষ্কার--- সংখ্য়ালঘু ভোট। ২০১১ থেকে এরাজ্য়ের সংখ্য়ালঘু ভোটব্য়াঙ্কে কার্যত একচেটিয়া আধিপত্য় তৃণমূলের। সেই সংখ্য়ালঘু ভোটব্য়াঙ্কে হুমায়ুন কবীর ভাগ বসালে কপালে ভাঁজ পড়বে তৃণমূলেরই।