অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: আট বছরের সন্তানের (child) সামনে মাকে গলার নলি (murder) কেটে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ত্রিকোণ প্রেমের (extra marital affair) জেরে স্ত্রীকে (wife) খুনের অভিযোগ বেলদা থানার ১৬ নম্বর হেমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের গহিরা গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
নিহতের নাম মঞ্জু বারিক। বয়স ৩২ বছর। গত কাল রাতে বেলদা থানার গহিরা গ্রাম থেকে তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পড়শিদের একাংশের দাবি, গত কাল রাত দশটা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে মঞ্জুর ঝগড়াঝাঁটি চরমে পৌঁছেছিল। সেই সময়ই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মঞ্জুর গলায় কোপ বসায় তাঁর স্বামী, অভিযোগ এমনই। ঘটনার সময় ওই দম্পতির আট বছরের সন্তান সামনে ছিল বলে খবর। নাবালকই পুলিশকে সবটা জানিয়েছে বলে উঠে আসে। রাতে পুলিশ গহিরা গ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূ। আর এই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে  বচসা লেগে থাকত। গত কাল রাতে অশান্তিই চরম পৌঁছোয়। সেখান থেকেই খুন, জেনেছে পুলিশ। নিহতের শাশুড়ি বরদা বারিকের অবশ্য় দাবি, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর কথায়, 'বাড়ি ফিরে আসার পর মাঝরাতে নাতি চিৎকার করে ডাকতে থাকে। আমরা পাশের ঘরেই থাকি। গিয়ে দেখি দরজা লাগানো আছে। ধাক্কা মারার পর নাতি দরজা খুলে দেয়। দেখি আমার বৌমা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দরজা খুলে দিতেই আমার ছোট ছেলে ছুটে পালিয়ে যায়। আমার বৌমার সঙ্গে অন্য জনের সম্পর্ক ছিল। সেই ক্ষোভ থেকেও এটি হতে পারে।' আজ সকালে নিহতের স্বামী কালিপদ বারিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।


সিভিক ভলান্টিয়ার খুন...
সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ির পাশে আমবাগান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল মালদার চাঁচলের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মঞ্জির ঔরঙ্গজেব। সেবারও উঠে আসে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। পরিবারের অভিযোগ ছিল, কিছুদিন আগে বাড়ি এসে মঞ্জিরকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বছর পঁচিশের মঞ্জির।আজ সকালে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন কি না, খতিয়ে দেখতে শুরু করে চাঁচল থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, বারবারই এমনই ঘটনা প্রকাশ্য়ে উঠে আসছে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের ঘটনা যেমন একুশ সালেও ভুরি ভুরি উদাহরণ এসেছে। তেমন বাদ যায়নি বাইশ। বসিরহাট থেকে শুরু করে নদিয়া, সর্বত্রই এহেন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কখনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে নিজের স্বামীকেই খুনের ঘটনা এসেছে। তেমনই পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগেও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে স্বামী। তবে ত্রিকোণ প্রেমের বাইরে, রাজনৈতিক ইস্যুতে খুনের অভিযোগেও একাধিকবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর, প্রথমে আত্মহত্যা কথা বলা হলেও, পরে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এক্ষেত্রে সত্যিই খুন হয়েছে কিনা, ময়নাতদন্ত করা হলে জানা যাবে। 


আরও পড়ুন:'মাসিক আয় কত?' অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে অঙ্কটা জানালেন শাহরুখ খান