কলকাতা: '২০১৭-র পুর নির্বাচনে দলের চাপে দুর্গাপুরে ৪৩-০ করেছিলাম'। জনসভায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে স্বীকারোক্তি জিতেন্দ্র তিওয়ারির। 'তৃণমূলের কাউন্সিলররা কীভাবে জিতেছিলেন আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। কীভাবে ৪৩-০ করা হয়েছে, আপনারা জানেন। তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী'। ২০১৭-য় তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অন্যদিকে পাল্টা জিতেন্দ্র তিওয়ারির শাস্তির দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। 


এর আগে আরও এক বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে 'চোর' ধ্বনি শোনা গিয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির গলায়। আর তা নিয়ে তেতে উঠল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বেরের বিডিও অফিস চত্বর। বাগযুদ্ধে চড়ে পারদ। অশান্তি এড়াতে তড়িঘড়ি জমায়েত সরায় পুলিশ (Paschim Bardhaman News)। 


দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে জিতেন্দ্র


ভোটের আগে পাণ্ডবেশ্বর বিডিও অফিসে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করাতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। ওই বিডিও অফিসের বাইরে দাঁড়িয়েই সরাসরি তাঁর পুরনো দল তৃণমূলকে নিশানা করেন জিতেন্দ্র। বলেন, "পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের তালিকা আমরা দেখেছি। যারা সমাজের ভাল চায়, তাদের বাদ দিয়েছে। যারা কয়লা ব্যবসা করে, তারা পঞ্চায়েত চালাবে, যারা লোহা ব্যবসা করে, তারা পঞ্চায়েত চালাবে। যারা বালি ব্যবসা করে, তারা পঞ্চায়েত চালাবে। কোনও লোহাচোর, কয়লাচোর, বালিমাফিয়া, সাট্টাবাজকে আমরা পঞ্চায়েতে যেতে দেব না।"


তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়ে আসে প্রত্যুত্তর। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, "বিজেপি-তে গিয়ে বলছেন, কয়লাচোর! নিজেই একটা কয়লাচোর। বিজেপিতে গিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেল নাকি!" তার উত্তরে জিতেন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, "CBI, ED, যারা কয়লাচোর, তাদের ডাকছে।" সেই নিয়ে তেতে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি জমায়েত সরাতে হয় পুলিশকে।


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: মনোনয়ন পত্র জমার সময় 'বেধড়ক মার' BJP প্রার্থীকে, ছিনিয়ে নেওয়া হল টাকা-পয়সাও

এই ঘটনায় নাম না করে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। যদিও শাসক-শিবির সেই দায় নিতে নারাজ। পাণ্ডবেশ্বরে যুব তৃণমূল নেতা তথা ব্লক সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, "তৃণমূল একাজ করতে পারে না। উনি কেন, আপনারা বলুন, একটা ক্যান্ডিডেটকে কেউ কিছু করেছে। জিতেন তিওয়ারিকে নিয়ে তৃণমূল ইন্টারেস্টেড নয়। পাণ্ডবেশ্বরের মানুষ বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে।"