কলকাতা: প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র (Shaoli Mitra)। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শোকবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলা নাট্যজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং প্রখ্যাত মঞ্চশিল্পী শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাভিভূত বোধ করছি। প্রবাদপ্রতিম শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র বাংলা অভিনয় জগতে মহীরুহ ছিলেন। 'নাথবতী  অনাথবৎ' বা 'কথা অমৃতসমান' এর মতো সৃষ্টিকর্ম বাংলার  লোকমানসে  চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’


মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “ শাঁওলি মিত্র আমার বহুদিনের সহযোগী ছিলেন। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তিনি আমার সঙ্গে একসাথে ছিলেন।  আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময়  তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।  পরে আমরা  দায়িত্বে এলে কিছুদিন পর তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি হন এবং দায়িত্বের সঙ্গে মূল্যবান কাজ করেন। বাংলার সরকার তাঁকে ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার দেয়। শাঁওলিদির ইচ্ছাক্রমে তাঁর  প্রয়াণের খবর  আমাকে  শেষকৃত্যের পর  দেওয়া হয় ।আমি কিন্তু কাছের মানুষ হিসাবে তাঁকে মনে ধরে রাখলাম।  আমাদের বহুদিনের সহকর্মী এবং সুহৃদ হিসেবে তিনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন। আমি শাঁওলিদির পরিবার- পরিজন ও অগণিত গুণগ্রাহী কে আমার আন্তরিক  সমবেদনা জানাচ্ছি।’’


ফুরলো জীবনের সব ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র। আজ বিকেলে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী, অনাড়ম্বর ভাবে আজ বিকেলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শিরিটি শ্মশানে। তিনি অভিনয় করেছেন, ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে। এছাড়াও তাঁর অভিনয় প্রতিভবার স্বাক্ষর রেখেছেন অসংখ্য নাটকে। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিতত বীতংশ, নাথবতী অনাথবত্‍, পুতুলখেলা, একটি রাজনৈতিক হত্যা, হযবরল, পাখি, গ্যালিলিওর জীবন, ডাকঘর, যদি আর এক বার। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান শাঁওলি মিত্র, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০১২ সালে অভিনয়ে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য পান ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান।


আরও পড়ুন: Shaoli Mitra Passed Away: "আমরা অভিভাবককে হারালাম,'' নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রর প্রয়াণে শোকের ছায়া সব মহলে