কলকাতা: রাজ্যপাল (C V Anand Bose) নিয়ে 'টিট ফর ট্যাট' পলিসি তৃণমূলের? এদিন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "ধনকড়কে যাঁরা পাঠিয়েছিলেন আনন্দ বোসকেও তাঁরাই পাঠিয়েছেন। দুজনের কর্মপদ্ধতি আলাদা হলেও উৎসস্থল একই। ফলে উদ্দেশ্য আলাদা হবে, এটা না ভাবাই ভাল।''  "তিনি যতক্ষণ সৌজন্য দেখাবেন, ততক্ষণ পাল্টা সৌজন্য চলবে। রাজ্যপালের সুরবদল হলে তৃণমূলেরও ভাষা বদল হবে,'' মন্তব্য কুণাল ঘোষের।


সোমবার দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতি এবং বাংলার প্রাক্তন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রাক্তনী বর্তমানকে কী পরামর্শ দিলেন,তা জানা না, গেলেও, সেদিনই রাজ্য়পালের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্য়াহতির সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়ে গেল, তাহলে সি ভি আনন্দ বোসও জগদীপ ধনকড়ের পথেই হাঁটছেন? 


জগদীপ ধনকড়, লা গণেশন, সি ভি আনন্দ বোস বাংলায় এই তিন রাজ্য়পালের জমানায় রাজ্য় সরকারের সঙ্গে রাজ্য়পালের সমীকরণও বদলেছে। জগদীপ ধনকড়ের জমানায় রাজ্য়পাল এবং রাজ্য় সরকারের সংঘাতের পারদ চড়েছিল সপ্তমে। বিভিন্ন ইস্য়ুতে দুই শিবিরের বাগযুদ্ধ ছিল প্রায় নিত্য়কার বিষয়। এরপর অস্থায়ী রাজ্য়পাল হয়ে আসেন লা গণেশন।অল্পদিনের মেয়াদে তিনি রাজ্য় সরকারের সঙ্গে কোনও সংঘাতের পথে যাননি। বরং তাঁর আমন্ত্রণে, চেন্নাইতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে অবধি অংশ নেন মুখ্য়মন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোস রাজ্য়পাল হয়ে আসার পর, কখনও মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে হাতেখড়ি দিয়ে, কখনও মুখ্য়মন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে সেই সুসম্পর্কই আরও জোরাল করার আভাস দেন।


কিন্তু, শনিবার রাজ্য় বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পরই  রাজ্য়পাল যেভাবে কড়া বিবৃতি জারি করেন এবং তারপরই যেবাবে তাঁর সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্য়াহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাতে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য়পাল এবং রাজ্য় সরকারের মধ্য়ে সম্পর্ক এবার কোন খাতে গড়াবে? সংঘাত? না সন্ধি? এরই মধ্যে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "জগদীপ ধনকড় যা ছিলেন, তাঁকে যারা নিয়োগ করেছে এনাকেও তাকে এনাকেও তারা নিয়োগ করেছে। তাই কর্মপদ্ধতি আলাদা হলেও উৎসস্থল একই। তাই আলাদা উদ্দেশ্য হবে, এটা না ভাবাই ভালো। যতদিন তিনি সৌজন্য দেখাচ্ছেন, পাল্টা সৌজন্য আমরা দেখাব। কিন্তু রীতি বহির্ভূতভাবে পরামর্শদাতা যদি তিনি আনেন, সরকারের ওপর নজরদারি রাখেন, তাহলে গোটা প্রতিক্রিয়ার ভাষা বদলাবে। রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো সম্পর্ক রাখার পরিবর্তে যদি রাজভবনকে কেউ বিজেপি রঙ্গমঞ্চ করে, প্রাক্তন আমলাদের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন, সেক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূল তার ভাষা ও মেজাজ বদলাবে।''


আরও পড়ুন: Left Rally: নৌশাদ সিদ্দিকিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল বাম, আইএসএফ-সহ ১৮টি সংগঠনের