উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও আবির দত্ত: নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ( Naushad Siddique) অন্যান্যদের নিঃশর্ত মুক্তির (Release) দাবিতে মিছিল বাম (Left), আইএসএফ-সহ (ISF) ১৮টি সংগঠনের। পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যাচ্ছে মিছিল। একই দাবিতে সমাবেশ ভাঙড়ে। 


কী পরিকল্পনা?
মিছিল এদিন দুপুরে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যায়। বামপন্থীদের পাশাপাশি আইএসএফ নেতৃত্বদের দেখা যায় এই মিছিলে। তাতে হাঁটতে দেখা যায় বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমের মতো সিপিএম নেতাদের। ভাঙড়-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সকলেই মিছিলে হাঁটেন। অংশগ্রহণকারীদের রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত যাবেন। সেখানেই সমাবেশ করার কথা তাঁদের। আজকের মিছিলের মূল দাবি দুটো। এক, ধৃতদের অবিলম্বে মুক্ত দিতে হবে। দুই, যেই পুলিশ এই ঘটনা ঘটাল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই মিছিলের ডাক ভাঙড়েও হয়েছে।


কড়া বার্তা মহম্মদ সেলিমের...
'নৌশাদ সিদ্দিকিকে টাকার টোপ দিতে এরা কিনতে চেয়েছিল। যখন পারেনি, তখনই পুলিশ হেফাজত চাইছে যাতে ব্রেনওয়াশ করতে পারে', অভিযোগ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। তাঁর কথায়, 'বিরোধী পক্ষের একমাত্র বিধায়ক উনি। ওরা তাঁকে ভয় পাচ্ছে কারণ ওরা বিরোধী কণ্ঠস্বর ভয় পায়। ওরা শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা চায় যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ধরবেন। অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী চান যিনি ডেকে নিয়ে রান্নাবান্না করে খাওয়াবেন।'


প্রেক্ষাপট...
গত ২১ জানুয়ারি তেতে উঠেছিল । ধর্মতলাও রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যার পর গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়  আহত হন ৪জন। আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল বলে খবর। হাতিশালায় পতাকা লাগানো সংঘর্ষ তৈরি হয়। তার আঁচ পড়ে কলকাতায়, ধর্মতলায় অবরোধ হয়। ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চলারও অভিযোগ। পোড়ে তৃণমূলের অফিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।  ধর্মতলায় আইএসএফের অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।  


আরও পড়ুন:রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, ছিন্নভিন্ন জওয়ানদের দেহ, মৃত্যুমিছিল, ৪ বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল পুলওয়ামায়?