কলকাতা: IMA বেঙ্গলের ভোট গণনা অশান্তির আশঙ্কা। আর গণনা পর্বে নামানো হল বাউন্সার। বিরোধী সংগঠনের আশঙ্কা ছিল, ভোট গণনায় অশান্তি পাকাতে পারে উত্তরবঙ্গ লবি। এদিকে দলীয় মুখপাত্র, রোগী কল্যাণ সমিতির পদ হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন শান্তনু সেন। ১২ বছর একটানা রাজ্য সম্পাদক তিনি। সপ্তমবারও একই পদে নির্বাচিত হলেন শান্তনু সেন।
কয়েকদিন আগেই কাঁথির সমবায় ভোট হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। আর এবার বাউন্সার দিয়ে হল চিকিৎসক সংগঠনের ভোট গণনা। আট আটজন বাউন্সারকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে ভোট গণনা হল আইএমএ রাজ্য শাখার নির্বাচনে। উত্তরবঙ্গ লবি গণ্ডগোল পাকাতে পারে এই আশঙ্কায়, বাউন্সার নামানো হল চিকিৎসক সংগঠনের ভোট গণনায়। আইএমএ রাজ্য শাখার সদ্য নির্বাচিত রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, "আমাদের প্রাইভেট সিকিওরিটি রাখতে হয়েছে এটা দুঃখের। হাওড়ায় স্টেট কাউন্সিল মিটিং করার সময় তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। কয়েকজন ডাক্তার বাইরে থেকে লোক নিয়ে গিয়ে হামলা করেছিল। কাউন্টিংয়ে আশঙ্কায় ছিলাম। গণনা প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে যাতে হয় তাই বাউন্সার আনা হয়েছে।''
আরজি কর কাণ্ডের আবহে, এক সময় ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন। ভোটে জিতে সপ্তম বার, আইএমএ বেঙ্গলের রাজ্য সম্পাদক হলেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। প্রথমে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে অপসারণ। এরপর কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারিত। তার পরে NRS মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকেও অপসারণ। সর্বশেষ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে সরকারি প্রতিনিধির পদ থেকেও সরানো হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষ হাসি হাসলেন সেই শান্তনু সেনই।
IMA রাজ্য শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হলেন বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর এবং চিকিৎসক বিবর্তন সাহা। সহকারী সম্পাদক হলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সম্পাদক ও চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই এবং চিকিৎসক রাজীব বিশ্বাস। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হলেন চিকিৎসক অভীক ঘোষ। অন্যদিকে যে সমস্ত বামপন্থী চিকিৎসকেরা অভয়াকাণ্ডে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রার্থী হয়ে হেরে গেলেন চিকিৎসক সংগঠনের এই নির্বাচনে। IMA রাজ্য শাখার নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭৯৩। মোট ভোট পড়েছে ৬৩৩ টি। রাজ্য সম্পাদক পদপ্রার্থী শান্তনু সেন পেয়েছেন ৪৩০ টি ভোট। অন্যদিকে এই পদে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী চিকিৎসক সুকান্ত চক্রবর্তী পেয়েছেন ১১৬ টি ভোট। যার অভিযোগ, মিলছে না ব্যালটের অঙ্ক। এত বিতর্ক, এত ঘটনাপ্রবাহের পরও আইএমএ-র রাজ্য শাখা রইল তৃণমূলপন্থীদের দখলেই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।