কলকাতা: রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচ করতে না পারার অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ  স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)। তাঁর দাবি, ২০১৭-১৮ থেকে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের (Women and Child Development) ২৬০ কোটি টাকার বেশি পড়ে রয়েছে। বাজেটের সুফল প্রচারে কলকাতায় এসে এমন দাবি করলেন তিনি। তাতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। 


বাজেটের সুফল প্রচারে কলকাতায় এসে এমন দাবি স্মৃতির


লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষের বাজেটের সুফল প্রচারে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি (BJP)। সেই কাজেই কলকাতায় স্মৃতি। সেখানে তিনি বলেন, "আমি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। আপনাদের জানাতে চাই যে, ২০১৭-'১৮ সাল থেকে এখনও রাজ্যের ভাঁড়ারে ২৬০ কোটি টাকার বেশি পড়ে রয়েছে, যা আমার মন্ত্রক থেকে দেওয়া হয়েছিল।"


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) সাংসদ (Santanu Sen) শান্তনু সেন বলেন, "তাঁর অভিযোগের কতটা সারবত্তা রয়েছে, আমাদের সরকারি দফতরই তা বলতে পারে। বাংলার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা বাংলার প্রতিটি মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন। ২০২২ সালের ৫ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদিকে। তাতে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন খাত মিলিয়ে ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা আমাদের পাওনা। তার মধ্যে এত দিনে, প্রায় এক বছর হতে চলল, সামান্য টাকা ছাড়া কোনও টাকা হয়নি। সব খাতে কী ভাবে অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাকে অবরুদ্ধ করে তোলার চেষ্টা চলছে, প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি আটকে রাখা হয়েছে, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে যে সহযোগিতা করার কথা, তা দেওয়া হয়নি।"


আরও পড়ুন: TET Scam: অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া ৫০ কোটির মধ্যে ছিল কুন্তলের টাকাও! চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির


কেন্দ্র পৈতৃক সম্পত্তি থেকে কোনও টাকা দেয় না, বাংলা থেকে নিয়ে যাওয়া টাকাই বাংলাকে দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেন শান্তনু। তিনি বলেন, "স্মৃতি উইরানিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কেন্দ্র যে টচাকা দেয়, তা তাদের পৈতৃক কুলের টাকা তো নয়! বাংলা থেকে নিয়ে যাওয়া বছরে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি কর থেকেই একটি অংশ থেকেই দেওয়া হয় টাকা। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সব সময় বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়।"


বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্য এক নিয়ম, অভিযোগ শান্তনুর


বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্য এক নিয়ম, বাংলার জন্য অন্য নিয়ম বলেও অভিযোগ তোলেন শান্তনু। তিনি বলেন, "বিভিন্ন শর্ত আরোপের মধ্য দিয়ে, বাংলাকে আটকানো হয়। সম্প্রতি আবাস যোজনাতেও তা দেখেছি আমরা। একমাস সময় দিয়ে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছিল। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ করতে পারেনি বলে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি করা হয়। বাংলা সব কাগজ জমা দিয়ে দিয়েছিল। টাকা খরচ না করতে পারার অভিযোগ সত্য নয়। বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে অবরুদ্ধ করতে টাকা আটকে রাখা হয়, বদনাম করা হয় মিথ্যে অভিযোগ তুলে।"