পুরুলিয়া: প্রকাশ্য জনসভা থেকে দলকে কড়া বার্তা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলে থেকে মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করা চলবে না বলে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, মানুষের রায়েই নির্বাচিত হন নেতারা। সেই মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করলে, আসন চলে যেতে সময় লাগবে না। তাই না পোষালে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে চলে যেতে পারেন যে কেউ। (Mamata Banerjee)


মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ব্যাটারি ময়দানে জনসভা করেন মমতা। সেখানে থেকেই দলের একাংশকে কড়া বার্তা দেন। এদিন মমতা বলেন, "জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত, পৌরসভা, বুথস্তরের সকলকে বলব, একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। মনে রাখবেন, আমরা সবাই খুব ছোট। মানুষ কিন্তু বড়। মানুষই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাই ক্ষমতায় এসেছেন। মানুষ ছুড়ে ফেলে দিলে, কেউ ফিরেও তাকাবে না।" (Mamata in Purulia)


মমতা আরও বলেন, "আমি চিরকাল এই কথা বিশ্বাস করে এসেছি। আমার সঙ্গে যাঁরা দল করবেন, এই কথা বিশ্বাস করলে তবেই আমা সঙ্গে থাকুন। নইলে নিজের ঘরে যান, বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস করুন। আমার কোনও আপচত্তি নেই। কিন্তু মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করা যাবে না। পরিষ্কার কথা আমার। সাধারণ মানুষকেও বলব, এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরিতে জানান। সরকারের এগিয়ে বাংলা পোর্টালে গিয়ে অভিযোগ জানান।"


আরও পড়ুন: Sandeshkhali Case : সন্দেশখালি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পেলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার


সন্দেশখালি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, সেই আবহে পুরুলিয়া থেকে মমতার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শেখ শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা থেকে সম্পত্তি জবরদখল, নারী নির্যাতন, অভিযোগের শেষ নেই। 


সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। গ্রামবাসীদের ধমকানো-চমকানো ছাড়াও, অত্যাচার, জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। মানুষের তাড়া খেয়ে তাঁর অন্যের ঘরে ঢুকে পড়ার দৃশ্যও দেখেছেন বঙ্গবাসী। তার পর পরই অজিতের পদ কেড়ে নেওয়া হয়। গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। এমন পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি থেকে বেড়মজুরের একে একে হৃত সম্পত্তি, টাকা-পয়সা সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেই আবহেই দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা।