সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্যের। সন্দেশখালি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পেলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ( Nirapada Sardar ) । মঙ্গলবারই জেল থেকে মুক্ত করতে হবে নিরাপদ সর্দারকে, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। আদালত গোটা ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে। মঙ্গলবার জেল থেকে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মুক্ত না হলে আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া হবে , মন্তব্য করেন বিচারপতি। 



১৭ দিন হেফাজতে রয়েছেন নিরাপদ সর্দার।  কীভাবে একজন নাগরিককে এভাবে হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ ? প্রশ্ন করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। কেন এই পুলিশ আধিকারিকদের এখনই গ্রেফতার করা হবে না ? প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি। এতদিন হেফাজতে আছেন, কে এই ক্ষতিপূরণ দেবে ? বলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।     


সন্দেশখালিতে যাবতীয় বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সূত্রপাত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধেয়। ভাঙচুর থেকে অগ্নিসংযোগ, বাদ যায়নি কিছুই! এরপর, ১১ ফেব্রুয়ারি  গ্রেফতার করা হয়, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, শিবু হাজরার বাড়িতে বিক্ষোভ, পোলট্রি ফার্মে অগ্নিসংযোগের ঘটনাতেই গ্রেফতার করা হয় নিরাপদ সর্দারকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি  সন্দেশখালিকাণ্ডে একটি মামলায় নিরাপদ সর্দার জামিন পেলেও অন্য মামলায় জেল হেফাজত হয় প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাটের মহকুমা আদালত।


মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ১৭ দিন হেফাজতে রয়েছেন নিরাপদ সর্দার।  নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি, আর পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে ১০ ফেব্রুয়ারি। এরপর তাচ্ছিল্যের সুরে বিচারপতি বলেন,  পুলিশ তো দারুণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে! বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন নাগরিককে এভাবে হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ? কেন এই পুলিশ আধিকারিকদের এক্ষুনি গ্রেফতার করা হবে না ? বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এতদিন হেফাজতে আছেন। কে এই ক্ষতিপূরণ দেবে ? এরপরই বিচাপতি দেবাংশু বসাকের মন্তব্য, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে এই ধরনের একটা অভিযোগের ভিত্তিতে কীভাবে একজন নাগরিককে গ্রেফতার করা হল?মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। 


 


আরও পড়ুন :                                                       


 সন্দেশখালি যাওয়ার পথে 'পুলিশি বাধা', গ্রেফতার নৌশাদ সিদ্দিকি