রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Poll 2024)। আর তার ঠিক আগেই সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Violence) তোলপাড় গোটা বাংলা। উঠে আসছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ।এদিকে যার সংসদীয় এলাকাতেই সন্দেশখালি, সেই বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এতদিন এবিষয়ে যাবৎ চুপ ছিলেন। যদিও সেজন্য তাঁর সোশ্যাল পোস্টে প্রেম দিবস-সহ একাধিক পার্বণে ভাটা পড়েনি একটুও। এদিকে ভোটপ্রচারের দেখা মিললেও, যখন ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তখন তিনি কোথায় ? এই অভিযোগের প্রশ্নে সম্প্রতি তিনি মুখ খুলেছেন। একটি লম্বা ট্যুইটও করেছেন। যেখানে স্পষ্ট লিখেছেন, 'এই ধরণের অভিযোগ হৃদয় বিদারক। একজন মহিলা হিসেবে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সবসময় দলের নির্দেশ অনুসরণ করেছি।' আর এবার লোকসভা ভোটের আগে ঠিক সেই জায়গাতেই সাতসকালে শব্দবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কেন উনি মানুষকে কথা দিয়েছিলেন? উনি সংসদ। মানুষ ভরসা করে ভোট দিয়েছে। উনি কিছুই জানেন না? উনি কোন জগতে থাকেন? উনি পার্লামেন্টে যান না। উনি নিজের এলাকায় যান না। মানুষ ওনাকে খুঁজছে। তৃণমূল এই ধরণের লোকেদের নিয়ে এসে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। আর তারা ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না। কারণ তাঁদের লাইফস্টাইল রাজনীতির সঙ্গে মেলে না। তাঁরা যে কাজ করেন, সিনেমা ইত্যাদি, সেটা ২৪ ঘন্টার পেশা। রাজনীতিও ২৪ ঘন্টার পেশা। তাদের মুখ দেখিয়ে তৃণমূল ভোট নেয় আর মানুষকে বঞ্চিত করে। দেবকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মিমি বলছে আমি আর এর মধ্যে নেই। তাঁদের বোরে করে তৃণমূল জিতছে। তারপর মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। সাধারণ মানুষের এবার ভেবে দেখার দরকার আছে। দেব-দেবী দেখে বা সুন্দর মুখ দেখে যদি ভোট দেন তাহলে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে।' 


মূলত সম্প্রতি নুসরত মুখ খুলে বলেছেন, 'এই সঙ্কটময় সময়ে, আসুন আমরা অন্যকে  উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকি এবং পরিবর্তে প্রশাসনকে সমর্থন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। রাজ্য সরকার অক্লান্তভাবে স্থানীয়দের সাহায্য করছে এবং একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হিসেবে আমি প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করা এড়িয়ে চলুন, এটাই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ।  আমার ভূমিকা হল আগুন নিভিয়ে ফেলা, আগুনে ঘি ঢালা নয় । আসুন প্রশাসনকে সহযোগিতা করি এবং তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিই।' তবে এখানেই শেষ নয়, নুসরতের মুখে এও শোনা যায় যে, 'আমি সাংসদ থাকি বা না থাকি, দিদি সবটা দেখবেন বসিরহাটে।' এই অংশেও তোপ দাগতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। নুসরত তো বটেই, সঙ্গে নিশানা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও।


আরও পড়ুন, আজও ভিজবে পাহাড়ি রাস্তা ? মঙ্গলে কেমন আবহাওয়া উত্তরবঙ্গে ?


এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, 'দিদি মহিলা বলেই তো মহিলাদের এই দুর্দশা হয়েছে। বছরের পর বছর অত্যাচারিত হয়েছেন। উনি একজন মহিলা। ওনার দায় নেই মহিলাদের কথা শোনার? তিনি নিজেকে আলাদা বলছেন। ওনার ওখানে গিয়ে কথা বলা উচিৎ। কেন বলেননি?' প্রশ্ন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার।