সোমনাথ মিত্র, হুগলি: প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ। সেজে উঠেছে রামের জন্মভূমি। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে শাস্ত্রীয় আচার মেনে হয় বিশেষ পুজো। সরযূর জলে শোধন করা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহ। তৈরি রাজসূয় যজ্ঞের জন্য ১ হাজার ৮টি কুণ্ড। আজ ১২৫টি কলসের জলে রামলালার মূর্তিকে স্নান করানো হবে।  


এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার হনুমান মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে ৫১ হাজার প্রসাদী লাড্ডু। এলাকার মহিলারাই লাড্ডু বানানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কলতলায় এই হনুমান মন্দির। শিব, রাধা-কৃষ্ণ ছাড়াও মন্দিরে অধিষ্ঠিত রাম, সীতা, লক্ষ্মণ। রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আগামীকাল বাঁশবেড়িয়ার এই হনুমান মন্দিরে বিশেষ পূজার্চনার পাশাপাশি হোম-যজ্ঞও হবে। সব শেষে বিলি করা হবে ৫১ হাজার প্রসাদী লাড্ডু।


অন্যদিকে,  রাম মন্দির উদ্বোধনের পর ১ হাজার ১১১ মণ প্রসাদী লাড্ডু  বিলি করা হবে। করসেবকপুরমের একটি বাড়িতে ৭ জানুয়ারি থেকে দেশি ঘি দিয়ে বানানো হচ্ছে সাড়ে ১৩ লক্ষ লাড্ডু। স্টিলের কৌটোবন্দি এই লাড্ডু ৬ মাস রাখা যাবে বলে প্রস্তুতকারীরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৭টি লাড্ডু সমেত কৌটো। ৫টি লাড্ডু সমেত কৌটোগুলি থাকছে সাধারণের জন্য। শতাধিক কারিগর করসেবকপুরমের হেঁশেলে বসে তৈরি করছেন এই প্রসাদী লাড্ডু।


আরও পড়ুন, সোমবার ড্রাই ডে অসমে, মাছ-মাংসেও লাগাম, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্য়ে হায়দরাবাদ থেকে এসেছে ১ হাজার ২৬৫ কেজি লাড্ডু। এই প্রসাদী লাড্ডু তৈরি করেছে শ্রীরাম কেটারিং সার্ভিসেস নামে একটি সংস্থা। হায়দরাবাদের ওই সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, ২৫ জন কারিগর মিলে তিনদিন ধরে এই লাড্ডু তৈরি করেছেন। যা একমাস রাখলেও নষ্ট হবে না বলে সংস্থার কর্ণধারের দাবি। হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যায় এই লাড্ডু আনতে সময় লেগেছে তিনদিন। 


এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের রেশ জলপাইগুড়িতে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই দিনবাজার এলাকায় ঢেলে বিক্রি হচ্ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা। উন্মাদনা এতটাই যে, পতাকা কিনতে দরদামও করছেন না ক্রেতারা। শোনা যায় জয় শ্রীরাম স্লোগান।