কলকাতা: শীতের (Winter) সঙ্গেই কলকাতায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ (Pollution)। পরিবেশবিদরা বলছেন, দূষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। ফুসফুসের সমস্য়া যাঁদের রয়েছে, তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ : ঠান্ডায় জবুথবু শহর, কিন্তু, ছুটি পেলেই ঘোরাঘুরিতে খামতি নেই। ভিড়-ভাট্টায় ঘুরছেন মাস্কহীন খোলামুখেই? তবেই মস্ত বড় ভুল করছেন। পরিবেশবিদরা বলছেন, পাতাঝরার মরসুমে ক্রমেই বাড়ছে দূষণ-অস্বস্তি। আর, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় অন্যান্য় রোগের পাশাপাশি দূষণের জন্য বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। পরিবেশবিদদের মতে, দূষণের নিরিখে কার্যত দড়ি টানাটানি করছে কলকাতা ও দিল্লি।
দূষণের সহনশীলতার মাত্রার থেকে দিল্লির দূষণ যেখানে ৫ গুণ বেশি, কলকাতায় তা ৪ গুণ। পাশাপাশি, শ্বাসবাহিত ধূলিকণার সহনশীলতার মাত্রা ১২ ঘণ্টায় প্রতি বর্গমিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম। কলকাতায় রবিবার বিকেলে রবীন্দ্রভারতী চত্বরে দেখা গেল, তা ১৮৩ মাইক্রোগ্রাম। কলকাতায় রেড রোড এলাকায় যা ছিল ২০৪ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লিতে ২১৭ মাইক্রোগ্রাম। পরিবেশবিদরা বলছেন, এই দূষণ মূলত ৩ ভাবে হচ্ছে। যানবাহন থেকে, মুক্ত জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো ও তৃতীয়ত কারখানা বা নির্মাণের দূষিত বাতাস থেকে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশবিদরা বলছেন, দূষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার মাস্ট।
পরিবেশবিদ সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “ভারী বায়ু, দূষণের মাত্রা, সহনশীলতার মাত্রার থেকে দিল্লিতে ৫ গুণ বেশি। কলকাতায় একই মাত্রার ৪ গুণ বেশি। দূষণের নিরিখে দড়ি টানাটানি। বাচ্চাদের ক্ষতি। করোনা নয়, এমনিতেও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এই দূষণ বাড়ছে যানবাহন, মুক্ত জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো, কারখানা বা নির্মাণের দূষণ।শীতকালে হিম পড়ে। দূষণযুক্ত এলাকা এড়িয়ে চলুন।’’
এই পরিস্থিতিতে, যাদের ফুসফুসের ক্রনিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্কদের খুব ঠান্ডায় বাড়ি থেকে বাইরে ভিড়ে না যাওয়াই ভাল। যাদের ফুসফুসের সমস্য়া নেই, তাঁরাও সতর্ক থাকুন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েজা ও নিউমোনিয়া ভ্য়াকসিন নেওয়া উচিত। সাধারণত, নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন ৫ বছর অন্তর নিতে হয়। প্রতিবছরই নিতে হবে ইনফ্লুয়েজা ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সমস্যা থাকলে ভিড় এড়িয়ে চলাই ভাল, তারপরও জটিলতা তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
আরও পড়ুন: Child Care: কনকনে ঠান্ডায় হরেক অসুখের হানা, শিশুদের বাড়তি নজরের পরামর্শ চিকিৎসকদের