রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : অক্সিজেন। একটু প্রাণ ভরে শ্বাস। তাহলেই বেঁচে যেতে পারে কয়েক হাজার প্রাণ । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগীর প্রাণ গেছে বলে অভিযোগ। তৃতীয় ঢেউয়ে যাতে সহজে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করা যায় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সোনারপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ সায়েন্সেস। 


লিভার ফাউন্ডেশন সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের মধ্যে নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমেরিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্ল্যান্টের উদ্বোধন করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।জানালেন, ' এমন একটা উদ্যোগে সামিল হতে পেরে গর্বিত। আশা করি এমন উদ্যোগ আরও নেওয়া হবে।'

আরও পড়ুন :


ওষুধের খরচ বছরে দেড় - আড়াই কোটি টাকা! শিশুদের বিরল রোগের চিতিৎসার সাহায্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা



হাসপাতালের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। লিভার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডা. অভিজিৎ চৌধুরী জানান, '  দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আমরা দেখেছি অক্সিজেন সঙ্কট কী ভয়াবহ হতে পারে। তৃতীয় ঢেউয়ে যাতে অক্সিজেনের সমস্যা না হয় তাই এই উদ্যোগ। ' 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, সঙ্কটের মুহূর্তে অন্য হাসপাতালগুলিতেও অক্সিজেনের জোগান দেবে সংস্থা। 


করোনাকালে বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইন শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত বহু পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে সন্তানের পড়াশুনোর দায়িত্ব নিক মায়েরা, সন্তানদের পাশে রেখে কিছুদিন আগে বীরভূমের নগরী অঞ্চলের তিনটি গ্রামের মায়েদের একথাই বোঝায় লিভার ফাউন্ডেশন। সন্তানকে মায়ের চেয়ে বেশি কেই বা বোঝে? মা’ই যে সন্তানের প্রথম শিক্ষক, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না! কিন্তু, একটু বড় হলেই সন্তানকে পড়ানোর ভার দেওয়া হয় শিক্ষকদের ওপর! করোনাকালে তো বন্ধ স্কুল। বন্ধ পঠনপাঠন।
নড়বড়ে হচ্ছে ভিত!  এই প্রেক্ষিতে এবার মায়েদের পুরোনো ভূমিকা মনে করান চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী! সৌজন্যে লিভার ফাউন্ডেশন।  সংসারের আর পাঁচটা কাজের সঙ্গে সন্তানকে পড়ানোর ভার নিন মা’ই। একথা বোঝাতে, এবার গ্রামে গ্রামে প্রচার করে লিভার ফাউন্ডেশন। সন্তানদের পাশে রেখে রবিবার বীরভূমের নগরী অঞ্চলের তিনটি গ্রামের মায়েদের বোঝানো হয় বাড়িতে পড়ানোর গুরুত্বের কথা।