রঞ্জিত সাউ, লেকটাউন : ৪০ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার দুই জন। লেকটাউন থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কোচবিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছিল ওই পরিমাণ গাঁজা। যশোহর রোড বাঙুর অ্যাভিনিউ ক্রসিংয়ে নাকা চেকিংয়ের সময় টাটা গাড়িটিকে দাঁড় করায় লেকটাউন থানার পুলিশ। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাছের ভুসির মধ্যে লুকিয়ে রাখা গাঁজা ভর্তি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম আবু মুন্নাত ও আলম মিয়া। দুজনের বাড়ি কোচবিহারে। বিপুল পরিমাণ ওই গাঁজা কলকাতার কোথায়, কাদের বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ।


এর আগে গত অগাস্ট মাসে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আটক করা হয়েছিল গাঁজা বোঝাই ট্রাক। বস্তা বোঝাই প্রায় ৩৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। গাড়ির চালক ও আরোহীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন আগরতলা এবং অন্য়জন মণিপুরের বাসিন্দা ছিল। মণিপুর সীমান্ত থেকে কলকাতায় গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ।


জুলাই মাসে মাদক উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। চা-বোঝাই লরি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০৮ কিলোগ্রাম গাঁজা, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। গাঁজা সহ চা-বোঝাই লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তার একদিন আগেই একটি বেসরকারি নাইট সার্ভিস বাস থেকে ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। একজনকে গ্রেফতারও করা হয় ওই ঘটনায়। ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই ফের মাদক-বিরোধী অভিযানে সাফল্য পায় রায়গঞ্জ পুলিশ। 


আরও পড়ুন ; চা-বোঝাই লরি থেকে উদ্ধার ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩০৮ কেজি গাঁজা


ওই মাসেই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ গাঁজা সমেত হাতেনাতে পাকড়াও করে ২ অভিযুক্তকে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ প্রায় ১৬ কেজি গাঁজা ও নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন বীরভানপুর বিসর্জন ঘাটের কাছে সাদা পোশাকে ওত পেতে বসেছিল। সাদা রঙের বোলেরো গাড়ি আসা মাত্রই পুলিশ গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। গ্রেফতার করা হয় বীরেন কর ও প্রশান্ত রক্ষিত নামে বছর চব্বিশের দুই যুবককে।