অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সুনীত হালদার, হাওড়া: পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ভেঙে ফেলা হবে সালকিয়ার পুরানো বেনারস রোড রেলওয়ে ওভারব্রিজ। এরই প্রেক্ষিতে হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২২ শে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হবে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন নতুন ব্রিজ তৈরির জন্য লোকাল ট্রেন এবং দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ভেঙে ফেলা হবে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) বেনারস রোড রেলওয়ে ওভারব্রিজ। ১২০ বছরের পুরনো এই রেল ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা করেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'ওই রেলওয়ে ওভারব্রিজের অবস্থা খুব খারাপ। ২০১১ সালেই রেল কর্তৃপক্ষ এই ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই পাশেই নতুন রেল ব্রিজ তৈরি করা হবে। এই ব্রিজের নিচের অংশ যেখান দিয়ে ট্রেন চলাচল করে সেটির দৈর্ঘ্য ৩৬ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৬৬ মিটার করা হবে। ২ লেনের এই ব্রিজ তৈরি করতে সময় লাগবে ৭৫ দিন। মোট খরচ হবে ৬৫ কোটি টাকা।'
এদিন তিনি আরও বলেন, 'নতুন ব্রিজের পিলার তৈরি করার জন্য ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিদিন রাত ১২:৩০ থেকে ভোর ৩:৩০ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।'
দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল না করা হলেও প্রতিদিন ৩০ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হবে। হাওড়া-বর্ধমান শাখায় ৩০ জোড়া লোকাল ট্রেনের মধ্যে ১৫ জোড়া হাওড়া ব্যান্ডেল লোকাল, ১১ জোড়া হাওড়া শেওড়াফুলি লোকাল, ২ জোড়া হাওড়া বেলুড় মঠ লোকাল এবং ২ জোড়া হাওড়া শ্রীরামপুর লোকাল বাতিল করা হবে। এর পাশাপাশি আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাওড়া বর্ধমান মেমু স্পেশাল রাত ১:৫০ এর বদলে রাত ৩:৩০ চালানো হবে।
এছাড়াও ২৯ শে ডিসেম্বর থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ডাউন দেহরাদুন হাওড়া এক্সপ্রেস, ডাউন উপাসনা এক্সপ্রেস, ডাউন মুজাফফরপুর হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেস, ডাউন দ্বারভাঙ্গা জংশন হাওড়া জংশন এক্সপ্রেস ৫০ মিনিটে দেরিতে পৌঁছতে পারে। এছাড়াও ডাউন মোকামা হাওড়া এক্সপ্রেস, ডাউন আজিমগঞ্জ হাওড়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, ডাউন গয়া হাওড়া এক্সপ্রেস এবং ডাউন রকসল হাওড়া মিথিলা এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে পৌঁছতে পারে। এদিন ডিআরএম আরও বলেন, ওই ব্রিজ সম্পূর্ণ হলে হাওড়া রেল ইয়ার্ডে ট্রেন চলাচল আরও ভাল হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের যুদ্ধবিমানকে কটাক্ষ বাংলাদেশের, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফালের বিশেষত্ব কী?