কলকাতা: এক সপ্তাহ পরেও ইন্ডিগো বিপর্যয়ে এখনও যাত্রী হয়রানি। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এবার কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'উড়ান বাতিলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত, আমি মনে করি যাত্রীরা বিচার চাইতে আদালতেও যেতেন পারেন।'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাগদার ভোট পাণ্ডুয়ায় ! এবার ভোটারের বিধানসভা কেন্দ্রই পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ

Continues below advertisement

 ওরা ভেবেছে ভোট এলে সামলে নেব, উড়ান বাতিলে  ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত, যাত্রীরা আদালতে যেতে পারেন : মুখ্যমন্ত্রী 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেখুন যে টিকিট কেনেন, যদি বিমান না চলে, সেক্ষেত্রে তো ওই যাত্রীর দেখভালের দায়িত্ব তো কোম্পানির উপরেই বর্তায়। সেই খরচ তো ওই উড়ান সংস্থাকেই দেওয়া উচিত। কিন্তু ওই কোম্পানির কথা এটাই যে আমাদের ভারত সরকার নির্দেশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা যে পরিষেবা দিচ্ছি, এটা ফ্যাক্ট। ওভার ডিউটি তো করতে হয়। পাইলটকেও রেস্ট নেওয়া উচিত। এটা আমি মানছি। কিন্তু এগুলি করার আগে, ১৫-৩০ দিন হাতে সময় নিয়ে,  কোনও অপশন নিয়ে এটা করা উচিত ছিল। ওদের জানা ছিল, এটা হলে, সব থেকে বেশি ভোগান্তি হবে যাত্রীদেরই। আমজনতা সফর করছে, কিন্তু ওরা ভেবেছে , কী হয়েছে, করতে দাও ! ভোট এলে কিছু না কিছু বলে সামলে নেব। এইভাবে দেশ চলে না। এরপরে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ বলেন আমরা বেশিরভাগটাই দেশের বাইরে সময় কাটাতে যাই, কিন্তু আমাদের কাছে দেশের সমস্যা দেখার সময় নেই। এটা খুবই দুঃভাগ্যজনক। এটা ভাবার বিষয়। যাদের (যাত্রী) এতদিন ক্ষতি হল, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। আমি মনে করি, যাত্রীরা বিচার চাইতে আদালতেও যেতেন পারেন।' 

বুধবার থেকেই দেশজুড়ে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা, সপ্তাহ ঘুরতে চললেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে

ডিসপ্লে বোর্ডে মুহূর্মুহূ বদলে যাচ্ছে উড়ানের স্টেটাস।  বাতিল বা বিলম্বিত হচ্ছে একের পর এক বিমান। অভিযোগ, সঠিক সময়ে মিলছে না তার তথ্য।যার জেরে এখনও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। বুধবার থেকেই দেশজুড়ে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। শুক্রবার থেকে যা চরম আকার নেয়। চাপের মুখে শেষমেশ শুক্রবার বিধি শিথিল করতে বাধ্য হয় Directorate General of Civil Aviation বা DGCA. কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে চললেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে।