রাজা চট্টোপাধ্যায় ও অরিন্দম সেন: জানুয়ারি মাসের পর মার্চ। চা শ্রমিকদের জন্য পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার ধর্না-অবস্থানে বসেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা এবং মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)।


পাঁচ দফা দাবি নিয়ে লাগাতার ধর্না-অবস্থান


শনিবার সকালে প্রথমে, জন বার্লার (John Barla) বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়ার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন মলয় ঘটক ও INTTUC-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, গতবছর কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? (Jalpaiguri News)

এ ছাড়া, চা শ্রমিকদের পিএফ প্রদান, চা শ্রমিকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি, শ্রমিক-সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ চালু-সহ পাঁচ দফা দাবিতে সুর চড়ান মলয় ঘটক। তিনি জানান, আন্দোলন চলছে। আগামীতে বিভিন্ন চা বাগানে আন্দোলন হবে। 


আরও পড়ুন: Suvendu on Kaustav: 'কংগ্রেসকে প্রতিদান মমতার', কৌস্তভের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর


এ দিন এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে মলয় বলেন, "আন্দোলন চলবে। শ্রমিকদের বোঝালাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৩২টি প্রকল্পের কথা। বিজেপি নেতার বাড়ি দেখছেন, পাশেই শ্রমিকদের বাড়ি দেখছেন। তফাতটা বুঝতে পারছেন! সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।"


এ নিয়ে পাল্টা জবাব জন। তিনি বলেন, "দাবি আমার মন্ত্রালয়ে কি লিখিতভাবে পাঠিয়েছে? এই আন্দোলনের কোনও যুক্তি নেই। এদের কাছে তথ্য নেই, এজেন্ডা নেই। মানুষকে ভুল বোঝায়। আগে কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকার হিসেব দাও। আমরা টাকা দিলে সেই টাকা কি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছবে? যারা যোগ্য প্রার্থী তারা রাস্তায় আন্দোলন করছে, অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিক। চুরি করে বাঁচার জন্য এসব করছে। রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না। মালিকদের এগেনস্টে এফআইআর হয়েছে, পুলিশ গ্রেফতার করছে না। থানায় গিয়ে ধর্না দিক।"


পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সুর চড়ান মলয় ঘটক


পাশাপাশি এ দিন, মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের বীরপাড়া লঙ্কা পাড়া রোডে বিধানসভার মুখ্য সচেতক ও মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার বাড়ির কাছে বিক্ষোভে সামিল হন মলয় এবং INTTUC-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। যদিও বাড়িতে ছিলেন না মনোজ টিগ্গা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বাড়ির সামনে সোমবার পর্যন্ত ছ'দিন ধরে চলবে ধর্না।