সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে একের পর এক মিসাইল (Missile)। আকাশ ভারী বারুদের গন্ধে। রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine) যুদ্ধের রেশ মেটার আগেই ফের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। ইজরায়েল ও গাজায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বাড়ছে নিহত-আহতের সংখ্যা। আর সেই যুদ্ধের মাঝেই আটকে পড়েছেন বাংলার বেশ কিছু মানুষ। 


যেমন বনগাঁর সাত্যকি কুণ্ডু। ইজরায়েলের ওয়াইজম্যান ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যায় পোস্ট ডক্টরেট (Post Doctorate) করতে গিয়েছেন সাত্যকি। পুজোর ছুটির জন্য আপাতত দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। হয়ে গিয়েছিল বাড়ি ফেরার সব প্রস্তুতি। তবে নিজের বাড়ি নয়, আপাতত সাত্যকির ঠিকানা বাঙ্কারে। সাইরেন বাজলেই বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাঙ্কারের মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। প্রয়োজনীয় খাবার, জল নিয়ে বাঙ্কারের মধ্যেই বাকিদের সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে সাত্যকিকে। সুযোগ পেলেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ছেলের ফোনের অপেক্ষায় ও একরাশ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের।


রাশিয়া-ইউক্রেন রেষারেষির মধ্যে এবার ইজরায়েল-হামাসের মুখোমুখি সংঘাতে রক্তগঙ্গা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ঘোরাল হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি। হামাস বাহিনীর লাগাতার হামলায় ক্ষতবিক্ষত ইজরায়েল। পাল্টা গাজায় শরণার্থী শিবিরে নির্বিচারে বোমা বর্ষণের অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বায়ুসেনার বিরুদ্ধে। দু'পক্ষের সংঘর্ষে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর, প্রায় ১৬০০ মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে দেড় হাজার জনের। শতাধিক মানুষকে যুদ্ধবন্দি করার অভিযোগও উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে। 


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, চারদিনের অচলাবস্থা চলাকালীন ইজরায়েলি হামলায় ১৪৩ শিশু ও ১০৫ নারীসহ ৭০৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৪০০০ এরও বেশি। এছাড়া হামাসের হামলায় ইজরায়েলে অন্তত ৯০০ মানুষ নিহত ও ২,৬০০ জন আহত হয়েছে।                                                                                                                         


আরও পড়ুন- যুদ্ধের আবহে প্রেমের জয়গান, বিয়ে সেরেই দেশের হয়ে লড়তে চললেন ইজরায়েলের দম্পতি