আবীর দত্ত, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি জারি রয়েছে ক্যাম্পাসে। এই পরিস্থিতিতে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ডাকা বৈঠক ঘিরে ফের রণক্ষেত্র যাদবপুর। ডব্লটিআইয়ের বিরুদ্ধে এসএফআইয়ের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। এই রণক্ষেত্র পরিস্থিতির মধ্যে আহত হন এক এসএফআই নেতা, কেপিসি হাসপাতালে (KPC Hospital) ভর্তি রয়েছেন তিনি, এমনটাই খবর। 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং রুখতে, প্রায় দেড় দশক আগে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছিল রাঘবন কমিটি। র‍্যাগিং আটকাতে বারবার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। কিন্তু, তারপরও যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে উঠল সেই র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী র‍্যাগিং বিরোধী পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিযোগ। সোমনার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই বাধে এই অশান্তি। 


স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) এবুং উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্সের (WTI) মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলেও শেষে হাতাহাতিতে পৌঁছয়। যদিও জানা গিয়েছে এই ঘটনায় দুই দলেরই সমর্থক আহত হয়েছেন। 


দিন যত যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে সেই র‍্যাগিংয়ের তত্ত্বই ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। অথচ, র‍্যাগিং রুখতে আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট। একই উদ্দেশে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে রাঘবন কমিটি। রয়েছে UGC-র নির্দেশিকাও।


আর পড়ুন, প্রাণের বিনিময়ে নড়ল টনক? যাদবপুরের হস্টেলে র‍্যাগিং বিরোধী হোর্ডিং


প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং রুখতে কড়া বার্তা সহ হোর্ডিং ঝোলানো হয়। র‍্যাগিং রুখতে নির্দেশিকার পরেও কেন পদক্ষেপ নয়? কোন নিয়ম মানা হয়েছে, আর কী মানা হয়নি, তা জানতে রিপোর্ট তলব করেছে UGC। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে UGC-র প্রতিনিধিদল। আর ছাত্র মৃত্যুর ৪ দিন পর এবার মেন হস্টেলে অ্যান্টি র‍্যাগিং হোর্ডিং পোস্টার দিল কর্তৃপক্ষ।  কিন্তু, এতদিন পর কেন? একটা প্রাণ চলে যাওয়ার পর? হুঁশ ফিরতে এত দেরি? এর দায় কর্তৃপক্ষ কি এড়াতে পারে?