সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : যাদবপুরকাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। এটি যাদবপুরকাণ্ডে পঞ্চম জনস্বার্থ মামলা। সেই সঙ্গে সোমবারই যাদবপুরকাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি ( BJP ) মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি । এটি এই বিষয়ে চতুর্থ জনস্বার্থ মামলা ( PIL )। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় NIA তদন্ত চাওয়ার পাশাপাশি, UGC-র গাইডলাইন মানা হোক বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রথমটি ১৪ অগাস্টে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী ছিলেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদনে উল্লেখ ছিল, R.K. রাঘবনের রিপোর্ট মেনে, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত পড়ুয়াদের র্যাগিং নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক UGC। এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট।
এরপর ১৬ অগাস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে ২য় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে তৃণমূল। মামলাকারী ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি সুদীপ রাহা। UGC-র নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসানোর আবেদন করা হয়। মামলাকারীর আবেদনে উল্লেখ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেল চত্বরে কোথাও যেন অন্ধকার না থাকে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সবার জন্য ডিজিটাল পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা, ঢোকার সময় ব্যাগ পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রাক্তনী এবং বহিরাগতদের জন্য আলাদা রেজিস্টার রাখারও আবেদন জানানো হয়।
গত ১৯ অগাস্ট যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে ৩য় মামলাটি হয়। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন প্রাক্তন ছাত্র ও গবেষক অভ্র সেন। তিনি আবেদন করেন যাতে এই মামলায় CBI, NIA, NCB-কেও যুক্ত করা হয়।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জোরকদমে চলছে তদন্ত। ধৃতদের জেরা করে উঠে এসেছে ১১ জনের নাম, খবর পুলিশ সূত্রে। ওইদিন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত জয়দীপ ঘোষ। খবর পুলিশ সূত্রে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদেরও বয়ান নিতে চায় পুলিশ।