কোচবিহার: যাদবপুরে আক্রান্ত ব্রাত্য, দিনহাটায় সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুর। দিনহাটায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ। দিনহাটায় সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর।
যতকাণ্ড যাদবপুরে।শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থা। গাড়ি ভাঙচুর। গাড়ির হাওয়া খুলে দেওয়া আবার শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে গিয়ে এভাবেই গাড়ির নিচে পড়ে গেলেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়া। কোনওক্রমে তাঁকে টেনে বার করলেন বাকি আন্দোলনকারীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই পড়ৃুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে!অন্য়দিকে যাদবপুরে গণ্ডগোলের পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য় এসএসকেএম মেডিক্য়াল কলেজে পৌঁছন ব্রাত্য় বসু। তাঁর এক্স-রে করা হয়। এসএসকেএম চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, চিকিৎসকেরা বললেন যে একটা ওই প্রেশারের ওষুধ...আমি এত বিস্তারিত বলব না, আমি বলছি আমি ঠিক আছি, সুস্থ আছি, আমি ভাল আছি। আমার অনেক অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা আহত, আমি তাদের নিয়ে জন্য নিজের থেকেও তাদের জন্য বেশি চিন্তিত । পাল্টা তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপক সংগঠন ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধেই আক্রমণের অভিযোগ তুলছেন বামপন্থী আন্দোলনকারী ছাত্ররা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র ও পড়ুয়া বলেন, আমাদের ওপর বোতল ছোড়া হয়েছে, ইট ছোড়া হয়েছে। আমাদের ওপর চেয়ার ছোড়া হয়েছে। ভিতরে যারা বসেছিলেন ওখানে। ভিতরে তো ওয়েবকুপার...ভিতরে যারা অবস্থানে রয়েছেন। আমরা জানি যে এখানে তৃণমূলের বড় সংখ্যার লোকজন আজকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারী পড়ুয়া বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ার ছুঁড়ে মারা হয়েছে, আমাদের ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঠিক আছে, ওর (ছাত্রী) জামা ছিঁড়ে গেছে।
আরও পড়ুন, যাদবপুরে নামল RAF, শিক্ষামন্ত্রীর উপর 'হামলা'য় রাস্তায় অরূপ-সায়নীরা, মুখোমুখি TMC-SFI-র মিছিল..
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ABVP-র অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বামপন্থী ছাত্রদের বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কিতে খুলেছিল চশমা। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জামা। চুলের মুঠি ধরে টান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ডাকা নিয়ে বাবুল-উপাচার্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে করেছিলেন ফোন। যদিও পরে নিজেই গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে বের করে এনেছিলেন রাজ্যপাল।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সেবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। তছনছ করে দেওয়া হয়েছিল ছাত্র সংসদের অফিস। আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।