কলকাতা: অরূপের সুরে এবার সৌগত, যাদবপুর নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ।'তৃণমূলের ২-৩ হাজার ঢুকলে কোথায় বাঁচবে? প্রেসিডেন্সির মতো এখানেও এখনও পুলিশ নিয়ে ভাবতে হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলে হাজার খানেক পুলিশ ঢুকে যাবে। ওটা ওদের সৌভাগ্য যে ছেলেটা আহত, না হলে কেউ সমবেদনা দেখাত না। যাদবপুর তো বাংলার বাইরে নয় । কেউ গেলেই গাড়ি ভাঙবে। যাদবপুরে একটা অসহ্য বাঁদরামির খেলা চলছে, সহ্য করা যায় না। তারপর থেকে ওরা আর আসবে না, বামেদের হুঙ্কার তৃণমূল সাংসদের ।


তিনি বলেন, 'যাদবপুর তো বাংলার বাইরে নয়, কেউ গেলেই গাড়ি ভাঙবে, সহ্য করা যায় না। যাদবপুরে একটা অসহ্য বাঁদরামির খেলা চলছে। এর আগে বাবুল, ধনকড়কে বাধা, এবার ব্রাত্যকেও বাধা। ছেলেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আহত না হলে কেউ সমবেদনা দেখাত না।'অপরদিকে, অরূপ বিশ্বাস বলেছেন এক মিনিটে দখল করতে পারি, ২-৩ হাজার ঢুকলে কোথায় বাঁচবে। প্রেসিডেন্সির মতো এখানেও এখনও পুলিশ নিয়ে ভাবতে হবে।'


যাদবপুরকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলেন, 'যাদবপুরে এই ঘটনা নতুন নয়, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।' প্রসঙ্গত,  ২০১৯ সালে ABVP-র অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বামপন্থী ছাত্রদের বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কিতে খুলেছিল চশমা। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জামা। চুলের মুঠি ধরে টান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ডাকা নিয়ে বাবুল-উপাচার্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে করেছিলেন ফোন। যদিও পরে নিজেই গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে বের করে এনেছিলেন রাজ্যপাল।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সেবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। 


আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিএম, বারুইপুরে 'বন্দি' সুজন !


 ব্রাত্য বলেন, 'যাদবপুর প্রায় মুক্তাঞ্চলে পরিণত করার চেষ্টা। আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিলাম, চেয়েছিলাম ডেপুটেশন জমা দিক, ওরা দিতে রাজি হল না। ৩০-৪০ জনের একটা গ্যাং ছিল, ওদের চিনি না। এসএফআইয়ের ডেপুটেশন দিয়েছিল, ৪-৫টি অতিবাম কয়েকটি সংগঠন ছিল, তাঁরা বলছিল সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে ডেপুটেশন দিতে হবে, সেটা সম্ভব ছিল না। ওরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে চাইছিল, টানা অধ্যাপকদের মারধর করেছে। ছাত্র হয়ে অধ্যাপকদের মারছে, এটা দুর্ভাগ্যের।'