কলকাতা: ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স তকমা পাওয়ার সুযোগ পেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়(Jadavpur University)। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির এরাজ্য়ের সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এমপাওয়ার্ড এক্সপার্ট কমিটির সুপারিশ থাকলেও, রাজ্য় সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা আসেনি। তাই এই সুযোগ হারিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়।
শিক্ষায় উৎকর্ষের জাতীয় তকমা পাওয়ার সুযোগ পেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। নাম সুপারিশ হলেও, ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স তকমা পেল না এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্য়সভায় বিজেপি সাংসদ, শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স তকমার জন্য় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্য়ালয়কে চিহ্নিত করে, এমপাওয়ার্ড এক্সপার্ট কমিটি, বা EEC। ২০২২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রক। জানানো হয়, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য় ৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। যার ২০% রাজ্য় সরকার দিলে, বাকিটা কেন্দ্র দেবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির এরাজ্য়ের সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, রাজ্য় সরকারের কাছ থেকে সেই আর্থিক সহায়তা আসেনি।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই আবেদনের জন্য প্রথমে ৩৩০০ কোটি টাকার বাজেট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে পাঠায় এবং সেই বাজেটে যেটা নিয়ম হচ্ছে যে এই পরিমাণ বাজেট পাঠাতে হয় এবং সেই পাঠানোর পরে কেন্দ্র হাজার কোটি টাকা দেবে এই আশ্বাস থাকে। রাজ্য সরকারকে বাকি টাকা দেওয়ার বা ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার আশ্বাস দিতে হয়। আমাদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ করে এবং তারপরে রাজ্য সরকার ওই পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করে। বা তার গ্যারান্টি দিতে অস্বীকার করে। তার ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে পরবর্তী সময়ে মাত্র ৬০০ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করে পাঠাতে হয়। যেটা স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা গৃহীত হয়নি। কারণ তার থেকে অনেক ভাল ভাল প্রস্তাব অন্য রাজ্য থেকে এসেছিল।'' উৎকর্ষ তকমার জন্য় আলাদা ভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফেও। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "শেষবার কেন্দ্রীয় সরকার যে যোগাযোগ করেছিল, ২২ সাল নাগাদ, সেখানে বলেছিলেন যে, ৩ হাজার কোটি টাকার ২৫% রাজ্য় সরকারকে দিতে হবে। তারপরে আমরা বাজেটটাকে কমিয়ে সাড়ে ছ'শো কোটি টাকা করে বলি, যে, তার ২৫% যে টাকাটা হয়, সেটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় ৫ বছরে ইনকাম করবে। বাকিটা কেন্দ্রীয় সরকার দিক। তকমাটা দিক অন্তত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়কে তকমাটা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সেটা কিন্তু দেয়নি।''