কলকাতা: পুজোর ছুটিতে বন্ধ রাখতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হস্টেল, নির্দেশ বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের। 'পুজোর ছুটির সময় যাতে কোনও হস্টেলের তালা খোলা না থাকে,তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বহিরাগতরা যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে', প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, নির্দেশ আদালতের।'পুজোর ছুটির পর সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা আলোচনায় বসুন। আলোচনায় বসে দু'পক্ষ নিরাপত্তা সহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবেন। CCTV বসানো সহ বাকি বিষয় নিয়েও পুজোর ছুটির পর রিপোর্ট দেবে রাজ্য- বিশ্ববিদ্যালয়', নির্দেশ বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের।

আরও পড়ুন, 'জল ভেবে মদের সঙ্গে ফর্মালিন খেয়ে' জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যু ! পুজোর মুখে মর্মান্তিক ঘটনা ডায়মন্ড হারবারে

পুজোর ছুটিতে বন্ধ রাখতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হোস্টেল। পুজোর ছুটির সময় যাতে কোনও হোস্টেলের তালা খোলা না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহিরাগতরা যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি সুজয় পাল ও স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি বছরের পয়লা মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত বামপন্থী পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।চালানো হয় ভাঙচুর। গণ্ডগোলের মাঝে পড়ে রক্তাক্ত হন এক ছাত্রও! এই ঘটনায় একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেরকমই একটি মামলায় শুক্রবার, ডিভিশন বেঞ্চ বলে,বহিরাগতরা যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। পুজোর ছুটির পর রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা আলোচনায় বসে নিরাপত্তা সহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। 

শিক্ষামন্ত্রী  ব্রাত্য বসু বলেন, 'মাননীয় বিচারপতি একটি বিশ্ববিদ্য়ালয় নিয়ে যখন রায় দিচ্ছেন, তখন বুঝতে হবে বাকি ৩১টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপর রায় নেই। তাহলে যাদবপুর নিয়ে এরকম উদ্বেগ এবং শঙ্কার কারণ আছে বলেই এই ধরনের রায় হচ্ছে। ৩১টা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর একটা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ক্ষেত্রে এত কড়াকড়ি, এত বিধিনিষেধ, নিয়ম-কানুন তাহলে বিচারপতিও, মাননীয় বিচারপতিও জানেন যে ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অভ্যন্তরে কারা কীভাবে নৈরাজ্য চালাচ্ছে।  আমি বিচারপতিকে এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছেন আমি তাকে স্বাগত জানাই।'এদিন বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে CCTV বসানো-সহ বাকি বিষয় নিয়েও পুজোর ছুটির পর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।