কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার নয়া মোড়। হস্টেল থেকে পাওয়া ডায়েরি ঘিরে রহস্য। ডায়েরিতে লেখা চিঠির ছবি ভাইরাল। ইংরেজিতে একপাতার চিঠি কার লেখা?


ছাত্র মৃত্যুতে নয়া মোড়: ভাইরাল হওয়া ওই চিঠি ১০ অগাস্ট ডিনকে লেখা। চিঠিতে বাংলা বিভাগের এক সিনিয়র ছাত্রের নাম উল্লেখ। ওই সিনিয়র চিঠিতে হস্টেল নিয়ে ভয় ধরানোর মতো মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ডায়েরির হাতের লেখা আমার ছেলের নয়, দাবি মৃত ছাত্রের বাবার। নজর ঘোরাতে এই চিঠি ভাইরাল করানো হয়েছে, দাবি যাদবপুরের পড়ুয়া জাহিদ খানের। তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতেই কি পরিকল্পিতভাবে চিঠি ভাইরাল? ঘনীভূত রহস্য। ডায়েরির হাতের লেখা কার? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত ছাত্রের সই করা কাগজ ও হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ তদন্তকারীদের। 


ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত নেমে একটা ডায়েরি পায় পুলিশ। ওই ছাত্রের সঙ্গে হাতের লেখা মিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, গতকালই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপ মারফত এই ভাইরাল চিঠি পান। যার বিষয়বস্তু অভিযোগ পত্র বলে লেখা। মৃত ছাত্রের বয়ানেও ওই চিঠি। যেখানে লেখা, হস্টেলে থাকা নিয়ে বিরূপ বিষয় সিনিয়ররা তার মনে ঢুকিয়েছে। তাই সে ভয় পাচ্ছ। হস্টেলে থাকতে গেলে কাজ করতে হবে। নাহলে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হবে। পুলিশ ডায়েরি পাওয়ার পরই এই চিঠি ভাইরাল হল কী করে? উঠছে প্রশ্ন। মৃত ছাত্রের হাতের লেখা যাঁরা চিনতেন তাঁদের দাবি এটা তার লেখা চিঠি নয়। একই দাবি, মৃত ছাত্রের বাবারও। তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতেই কি এই চিঠি ভাইরাল? জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রের বাড়ি থেকে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষার হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সইয়ের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। 


এদিকে মৃত্যুর তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও, অন্য একটি ঘরে চলেছিল মৃত ছাত্রের পরিচয়-পর্ব। হস্টেলে ঢোকার দিন সেই আলাপ-পর্ব শুরু হয় রাত ১০টা ১০ থেকে। উপস্থিত ছিল মনোতোষ, দীপশেখরের মতো পড়ুয়ারা ও প্রাক্তনী সৌরভ-সহ আরও কয়েকজন। ধৃত মনোতোষ ও দীপশেখরের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিচয়-পর্বের কোনও ভিডিও তোলা হয়েছিল কি না। ভিডিও বা ছবি থাকলে তা মুছে দেওয়া হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, ওই দুই পড়ুয়ার ফোন থেকে কোনও টেক্সট মেসেজ করা হয়েছিল কি না, কাদের ফোন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  


আরও পড়ুন: Jadavpur University:যাদবপুরের ক্যাম্পাস, হস্টেল চত্বরে নেই সিসিটিভি, দায় এড়াতে পারে কর্তৃপক্ষ? উঠছে প্রশ্ন