কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হল কীভাবে? নেপথ্যে কি র‍্যাগিং? বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নিরাপত্তায় ইউজিসির গাইডলাইন মানা হয়েছিল? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং জুটার সাধারণ সম্পাদককে ডেকে এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চাইল লালবাজার। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে এদিন ক্যাম্পাসে ঘেরাও হয়ে থাকায় লালবাজারে যেতে পারেননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস্।


যতকাণ্ড শিক্ষার উৎকর্ষকেন্দ্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলকে ঘিরে। বিশ্ববিদ্যালয়েরই হস্টেলের ৩ তলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পরে, বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়ে। যে ঘটনার জেরে, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের তদন্তকারীরা।


সূত্রের খবর, রেজিস্ট্রারের কাছে তদন্তকারীরা জানতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি কি কার্যকরী? মেন হস্টেলে প্রবেশ ও প্রস্থানের কী ব্যবস্থা রয়েছে? কে ঢুকছেন, কে বেরোচ্ছেন, তা নথিবদ্ধ রাখতে কি রেজিস্টার খাতা নিয়মিত সংরক্ষিত করে রাখা হয়? কারা কারা হস্টেলে থাকছিলেন, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা কি রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে? সূত্রের দাবি, অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্নেহমঞ্জু বসু। তদন্তকারীরা জানতে চান, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী মেন হস্টেলে সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল?


সূত্রের খবর, রেজিস্ট্রার জানান, ২০১৪ সালে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। তারপর এর বিস্তারিত কিছু তাঁর জানা নেই। কিছু সিসিটিভি চুরি হয়ে গেছে। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রার জানান, ২ দিনের মধ্যে বাকি প্রশ্নের জবাব যাদবপুর থানায় গিয়ে দিয়ে আসবেন। যাদবপুরের মেন হস্টেলের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, ragging নামক এই কুৎসিত কাজ বন্ধ করার দায় কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ছিল না?  উপাচার্যের ছিল না? অধ্যাপকদের ছিল না? হস্টেল সুপারদের ছিল না? ডিন অফ সটুডেন্টসের ছিল না? রেজিস্ট্রারের ছিল না? ছাত্র নেতাদের ছিল না? বিকৃতমনস্ক সিনিয়রদের একাংশের হাত থেকে প্রথম বর্ষের পড়য়াদের রক্ষার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের তরফে কেউ কি আদৌ নিয়েছিলেন? এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “তদন্ত চলছে। তাই এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ এদিন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু পুলিশের মুখোমুখি হলেও, ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় লালবাজারে যাননি। সূত্রের খবর, বিকেলে যাদবপুর থানার মাধ্যমে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লালবাজারকে জানায়, ডিন অফ স্টুডেন্টস ঘেরাও হয়ে রয়েছেন। তাই তিনি লালবাজারে আসতে পারবেন না।


আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে ফুঁসছে সব মহল, বিক্ষোভে একাধিক ছাত্র সংগঠন