কলকাতা : বিন্দুমাত্র অনুশোচনা তো দূরের কথা উল্টে ঔদ্ধত্য, অশালীন ইঙ্গিত ! যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুতে (Jadavpur University Student Death) গ্রেফতার এক ধৃতের কাণ্ডে হতবাক সকলে। থানা থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বের করার সময় মুখ ঢাকা অবস্থায় বাঁ-হাতের মধ্যমা দিয়ে অশালীন ইঙ্গিত করতে দেখা যায় গতকাল গ্রেফতার হওয়া এক যুবককে। যা নিয়ে মনোবিদদের (Psychiatrist) কেউ বলছেন একটা একধরনের বিষাক্ত পৌরুষ দেখানোর চেষ্টা আবার কারোর মতে, এটি অ্যান্টিসোশাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার।


মেধার আঁতুড়ঘরেই মেধাবীর রহস্যমৃত্যু হয়েছে। উঠেছে র‍্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ। মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মৃতেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদ-বিয়ারের বোতল। গত কয়েদিন ধরে এই ছবি দেখছে গোটা দেশ! এককথায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে, বাংলার গর্বের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ! আর এর মাঝেও গ্রেফতারির পরেও বেপরোয়া মনোভাব !


যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে শুক্রবার আরও দুই প্রাক্তন ও এক বর্তমান ছাত্রকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর যে তিনজনকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য শুক্রবার যাদবপুর থানা (Jadavpur Police Station) থেকে বের করে পুলিশ। তখনই পুলিশের গাড়িতে ওঠার পর মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখা যায় ধৃত এক যুবককে। সংবাদমাধ্যমের সব ক্যামেরা তখন ছিল ধৃত এই অভিযুক্তের দিকে ! তখনই মুখ ঢাকা অবস্থায় বাঁ-হাতের মধ্যমা দিয়ে অশালীন ইঙ্গিত করতে দেখা যায় তাঁকে। 


যে ঘটনা প্রসঙ্গে মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় (Anuttama Banerjee) বলেছেন, 'একধরনের বিষাক্ত পৌরুষ এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একধরনের বিভিন্ন মানুষকে র‍্যাগিং করা যায়, এটা সেই মানসিকতারই আরেকটা দিক। আদতে কত মানুষের প্রাণ যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে, মর্যাদাহানির মতো বিষয় ঘটছে, আমি সেটা ভেবে দেখছি না। এখনও আমি আমার ক্ষমতার ভাষা প্রয়োগ করে যাচ্ছি। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক, লজ্জাজনক, যে এতগুলো ঘটনা ঘটার পরও, শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা আশা করি, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আরও একটু যুক্তিযুক্তভাবে আলোচনা করবেন।'


মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্র (Sabyasachi Mitra) বলেছেন, 'একটা হচ্ছে ডিসসোশাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার অথবা অ্যান্টিসোশাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার। পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের হল মার্ক হচ্ছে অ্যারোগেন্স দুনম্বর হচ্ছে অনুশোচনাহীনতা।' 



আরও পড়ুন- ভয়াবহ মৃত্যুর রাতে ছাত্রের ফোন পেয়েও কেন হস্টেলে ছোটেননি ডিন অফ স্টুডেন্টস? সুপারই বা কী করছিলেন ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial