সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনায় প্রথমে তিন জন ও পরে বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে উঠে আসছে নানা তথ্য। সে দিনের সেই ভয়ানক ঘটনায় শুধু এই ৯ জন নয়, আরও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে উঠেছে দাবি। এবার তদন্তকারীদের স্ক্যানারে উঠে এল আরও কয়েকজন পড়ুয়ার নাম। তালিকায় আছে কয়েকজন প্রাক্তনীও। (JU Student Death)
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে আরও কয়েকজন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা নাকি ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত । পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত সেই সব ছেলেরা। এঁদের পরিচয় কী, তদন্তের স্বার্থেই সেই তথ্য প্রকাশ করছে না পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? পরিচয়পর্বের নামে কীভাবে ছাত্রকে হেনস্থা করা হয়েছিল? ভিডিও উদ্ধারে ধৃতদের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তারই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
নদিয়া থেকে পড়তে আসা ছাত্রের মৃত্যুর পরে, র্যাগিং ফের উঠে এসেছে আলোচনার টেবিলে! আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দিনের পর দিন ধরে ব়্যাগিং (Ragging) চলছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সুপার। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যাদবপুরে! হস্টেলে দাপাদাপি চলত প্রাক্তনীদের। সব জানত কর্তৃপক্ষ। হস্টেল সুপারের এই বিস্ফোরক বয়ানের পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, প্রাক্তনীরা বেআইনিভাবে ঘর আঁক়ড়ে পড়ে আছেন, মেন হস্টেলের মধ্যে যত্রতত্র নেশার উপদ্রব, অথচ এতদিন তিনি কেন প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি? এর উত্তরে তিনি বলছেন, হস্টেলে ৬০০ ছেলে, ২ জনমাত্র সুপার কী করব !
অন্যদিকে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তে শুক্রবার পঞ্চম বৈঠকে বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সুপার-আবাসিকদের। চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত রিপোর্ট যাচ্ছে ইউজিসি-র কাছে। সেইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী ও পড়ুয়াকে তলব করেছে পুলিশ। তলবের পর প্রাক্তনী ও পড়ুয়ারা আজ হাজিরা দিতে পারেন যাদবপুর থানায় ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরকাণ্ডে চাপ বাড়িয়ে এবার চিঠি জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের