কলকাতা: যাদবপুর পড়ুয়া মৃত্যুর পর রহস্যময় চিঠি ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য (Jadavpur University Student Death Case)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবার যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে এবার আরও ৬ ছাত্রকে তলব করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে'। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাতপরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ (Police)।
যাদবপুরকাণ্ডে, হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রর মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের। হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনের পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত আরও কয়েকজনের ফোন পুলিশের স্ক্যানারে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'
আরও পড়ুন, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা, স্লোগানে সরব AISA
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে (Jadavpur University) পদক্ষেপ করতে রাজ্যপালকে চিঠি রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) আচার্য করার বিল পাস হলেও, এখনও তাতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। যে কারণে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনিই (JU Student Death)। তাই তাঁকেই চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। শিশু কমিশনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।