সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : যাদবপুরে ( Jadavpur University ) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। সবাই চাইছে সুস্থ ক্যাম্পাস! ভিতরে ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে সেই ছবি। এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিকটবর্তী পুকুরে মদের বোতল। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় সাড়ে সতেরো বছরের এক পড়ুয়ার। সেই হস্টেলের কম্পাউন্ডের ভিতরে থাকা পুকুরের যততত্র-সর্বত্র এখনও পড়ে রয়েছে মদের বোতল।
প্রশ্ন উঠছে, এটা বিশ্ববিদ্য়ালয় না নেশার আখড়া? শিক্ষার পীঠস্থানে নেশার উপকরণের এত রমরমা কীকরে?
নেশা কি শুধু এইটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল? নাকি যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় ক্য়াম্পাসে কি অন্য় নেশাও চলত?
শুধু সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা। অভিযোগ, অন্ধকার নামলেই রঙিন হয়ে ওঠে যাদবপুরের ক্যাম্পাস। বসে নেশার আসর। মদ-গাঁজা, কী থাকে না, সেখানে! অভিযোগ, রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নেশার ঘোর! এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর ছবি। দেখা গেল পুকুরের আশেপাশে অগুন্তি মদের বোতল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী জয়ন্ত পাল বলছেন, আমরা এই ব্যাপারে কিছু জানি না ! বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাফাইকর্মী বলছেন, এত বোতল, কখনও এক বস্তা হয়, কখনও বোতল দেড় বস্তা....
একটা পরিবারের স্বপ্নভঙ্গের পরও, যে ভয়ঙ্কর এই ছবিটা বদলায়নি, তা এদিনের এই ছবি থেকেই স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মৃত পড়ুয়ার বাবা বলছেন, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকলে, বোঝা যেত কারা ছেলেকে খুন করেছে। কারা পালিয়ে যাচ্ছে। যাদবপুরের ক্য়াম্পাসে সিসিটিভি ক্য়ামেরা না থাকা নিয়ে সরব হয়েছে পড়ুয়াদের একাংশও । কিন্তু, একজন জলজ্যান্ত পড়ুয়ার মৃত্যুর পরও, ক্যাম্পাস ও হস্টেল চত্বরে ক্যামেরা বসানো নিয়ে কোনও উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন :
সাতসকালে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই ট্রেনে আগুন ! গলগল করে ধোঁয়া AC কামরা থেকে
এরই মধ্যে ৯ অগাস্ট রাতে কী ঘটেছিল যাদবপুরের মেন হস্টেলে, কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের, জানতে অভিযুক্ত প্রাক্তনী, সপ্তক কামিল্যাকে মেন হস্টেলে নিয়ে গিয়ে সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, যাদবপুরকাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে কয়েকজনের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। সে কারণে পৃথক পৃথকভাবে ধৃতদের দিয়ে ঘটনা পুনর্নির্মাণের কথা ভেবেছে পুলিশ।