কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ৫০ ঘণ্টা। এখনও যাদবপুরে (Jadavpur) আটকে রয়েছেন সহ-উপাচার্য সহ অধ্যাপকদের একাংশ। 


ঠিক কী ঘটে?


অনলাইনে ফাইনাল সিমেস্টার (Final Semester) পরীক্ষা দিতে চান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (Engineering) পড়ুয়াদের একাংশ। সেই থেকেই সমস্যা সূত্রপাত। এরপরই সোমবার দুুপুর থেকে ঘেরাও করা হয় উপাচার্য ও অধ্যাপকদের। মঙ্গলবারও অবস্থান চলতে থাকে। অসুস্থ হয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বেরিয়ে গেলেও এখনও আটকে আছেন সহ-উপাচার্য সহ একাধিক অধ্যাপক।


জুটার বৈঠকে সিদ্ধান্ত


বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বোর্ড অফ স্টাডিজ' (Board of Studies) চায় পরীক্ষা হোক অফলাইনে। অন্যদিকে ছাত্ররা চান অনলাইনে পরীক্ষা হোক। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন 'জুটা'র (JUTA) বেনজির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে 'পরীক্ষা হতে হবে অফলাইনেই।' জুটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ছাত্রদের দাবি মেনে অনলাইনে পরীক্ষা হলে, পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে সরে দাঁডাবেন সব অধ্যাপক। 


আরও পড়ুন: Madhyamik 2023 : বেজে গেল দামামা, আগামী বছরের মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ


প্রেক্ষাপট


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সহ একাধিক শিক্ষককে গত সোমবার থেকে ঘেরাও করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে। কম্পালসারি ট্রেনিং-এর জন্য অনেক পড়ুয়া মেস ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছেন। তাঁদের পক্ষে থাকার জন্য হস্টেল না পেলে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, এই বিষয়ে উপাচার্যর সঙ্গে দেখা করার পরেও মেলেনি সদুত্তর।


অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হস্টেল থাকার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হলেও একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সহ আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ৯ জন। সেই জন্য হস্টেলে থাকার জন্য আবেদন করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। অন্যদিকে, পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI