কলকাতা: আইনশৃঙ্খলা থেকে প্রশাসনিক বিষয়, বার বার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বেধেছে তাঁর। সাংবিধানিক পদে থেকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরেও ফের বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল (West Bengal Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কর্মসংস্থান থেকে আমলাতন্ত্র, নানা ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধলেন তিনি।
ফের রাজ্যকে নিশানা রাজ্যপালের
বুধবার বাগডোগরায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ধনকড়। তিনি বলেন, "নাগরিক এবং বিশিষ্ট জনেদের এগিয়ে আসার এটাই উপযুক্ত সময়। রাজ্যের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলুন ওঁরা। ওঁদের নীরবতা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আমলারা সব প্রশাসনের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন।"
কর্মসংস্থানে সম্প্রতি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিংয়ে গিয়ে পাডহাড়ের জন্যও কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সেই নিয়েও কটাক্ষ ছুড়ে দেন ধনকড়। তাঁর কথায়, "তিন বছর ধরে বিনিয়োগ, চাকরির নতুন সুযোগ নিয়ে অনেক শুনেছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি।"
রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন, "আর বলবেন না তো!। সারাদিন খালি ট্যুইট আর কথা। রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষের কথা ভাবুন রাজ্যপাল! রাজ্যপাল যদি একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে রাজ্যের মানুষ ওঁকে রাজ্যপাল হিসেবে দেখবেন না, একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে সকলের কাছে গন্য হবেন উনি, যা না ওঁর পক্ষে, না রাজ্যপালের আসনের জন্য সম্মানজনক।"
রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Biman Banerjee) রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, "রাজভবনকে তামাশার জায়গায় পরিণত করেছেন উনি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রাজভবন তার মর্যাদা হারাচ্ছে, যা দেখতে আমাদেরও খারাপ লাগছে।"
ধনকড়ের তীব্র সমালোচনা পার্থ-বিমানের
এর আগে, সোমবারও বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল ধনকড়কে। মিন্টো পার্কে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বাংলায় আমালাতন্ত্রের রাজনৈতিকরণ ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মনে রাখবেন, আপনাদের রাজ্যপাল বদল এনে তবে ছাড়বেন।" তাতেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।