সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : বিধানসভার ( West Bengal Assembly ) অন্দরেই তৃণমূলের (TMC MLA )  ৪ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সৌমেন রায় এবং তন্ময় ঘোষকে হুমকি দেওয়ার  অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। যাঁরা প্রত্যেকে বিজেপির প্রতীকে গত বিধানসভা ভোটে জিতলেও, পরে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন। সেই ঘটনার পর হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়। যার শুনানিতে বুধবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল সরকারই। 
মার্চে অধিবেশন চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন তাঁর বিরোধিতায় সরব হন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় ও  বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অভিযোগ,  এরপর  কৃষ্ণ কল্যাণীকে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, ' কালকেই আপনার ওখানে ইনকাম ট্যাক্স পাঠাব...' । 
এরপর এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হয় FIR। সেই FIR এবং তদন্ত প্রক্রিয়া খারিজের দাবিতে আদালতে আবেদন করেন শুভেন্দু।   বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, যেহেতু এটা বিধানসভার ভিতরের ঘটনা এবং অধিবেশন চলার সময় এই ঘটনা ঘটেছে তাই এটা পুলিশের বিচার্য বিষয় নয়।
আরও পড়ুন:


' এভাবে হিন্দুদের অপমান করা যায় না ' কালী-মন্তব্যে মহুয়াকে একহাত নিলেন শুভেন্দু


এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বিধানসভার আইনজীবীকে বলেন, বাম আমলে বিধানসভায় ভাঙচুরের মামলা এখন কী অবস্থায় রয়েছে? কী পদক্ষেপ হয়েছে সেই মামলা গুলির ক্ষেত্রে ? 
এখানেই থামেননি বিচারপতি। বিধানসভার আইনজীবীকে তিনি জিগ্যেস করেন, '' বাম আমলে বিধানসভার প্রাচীন স্থাপত্য ভাঙচুর হয়েছে, হেরিটেজ ,  আসবাব ভাঙচুর হয়েছে । সেগুলির ক্ষেত্রে কী হয়েছে ? সেই বিরোধীরা এখন শাসক হয়েছে। 
আপনারা যখন করেছেন তখন সেটা বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল, তাহলে এখন কেন আদালতে মামলা আসছে ? '' 
বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দুপুর ২ টায় হাজির হয়ে এর জবাব দেওয়া উচিত।