কলকাতা : মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। তার আগে আজ রাজ্য বিধানসভায় বি আর অম্বেডকরকে ( B. R. Ambedkar ) শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারকে একের পর এক ইস্যুতে শাণিত আক্রমণ করে গেলেন রাজ্যপাল। বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর’ । আগের মতোই আবারও বললেন , পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয়, শাসকের শাসন চলছে। আবারও আক্রমণাত্মক ধনকড়ের মুখে রাজ্য সরকারের নিন্দা , ‘বাংলায় গণতন্ত্র বিপদের মুখে, ‘রাজ্যে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না’ । সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন তাঁর কাছে হাওড়া পুরভোট নিয়ে কোনও ফাইল সইয়ের অপেক্ষায় পড়ে নেই। মুখ খুললেন সৌগত রায়ের অভিযোগ নিয়েও। রাজ্যপাল আর যা যা বললেন -
- বাংলায় আইনের শাসন নেই, ভোট পরবর্তী হিংসা সেই ঘটনার প্রমাণ।
- রাজ্যের অফিসাররা সংবিধান মেনে কাজ করুন। রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গেছেন। রাজ্যের আমলারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। রাজভবন কী করতে পারে, জানা নেই সরকারি অফিসারদের।
- স্পিকার রাজ্যপালকে ব্ল্যাকআউট করেছেন
- অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে অন্ধকারে রেখে কিছু করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা
- রাজভবনে কোনও ফাইল আটকে নেই
- রাজ্যপালের নামে মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
- যে ভাষায় রাজ্যপালকে চিঠি লেখা হয়, তা অত্যন্ত লজ্জার।
- রাজ্যপাল হিসেবে জানতে চেয়েছিলাম মা ক্যান্টিনে কত টাকা খরচ? কোনও উত্তর পাইনি, এখানে কি প্রশ্ন করারও অধিকার নেই?
- রাজ্যপালের সম্মতি না নিয়েই ২৫ জন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। এ ধরনের কাজ দেশের আর কোথাও হয়? আমি যে প্রশ্নই করি না কেন, কোনও উত্তর দেয় না রাজ্য।
- সৌগত রায় আমার সমালোচনা করছেন। সৌগত রায় বলছেন, রাজ্যপাল রোজ ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। মনে রাখবেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে আমি কোনও কাজ করি না। রাজ্যপালকে কীভাবে উপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী?
- সংবিধানকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। সৌগত রায় বলেছেন, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে রোজ মেসেজ পাঠান। আমি বলছি, এরকম কোনও কিছু হয়নি।