নয়াদিল্লি: ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংসদেরও বেশ কয়েকজন কর্মী, আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনের আগে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সংসদে যাতে করোনাবিধি মেনে চলা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 





সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সংসদের অধিবেশন চলাকালীন যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা সম্ভব হয়, তার জন্য রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন আলাদা সময়ে হবে। দিনের প্রথমার্ধে রাজ্যসভার অধিবেশন হতে পারে। লোকসভার অধিবেশন হতে পারে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে।


১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেদিন সকাল ১১টায় শুরু হবে লোকসভার অধিবেশন। পরের দিন থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিকেল চারটে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলতে পারে অধিবেশন।


রাজ্যসভার অধিবেশনের সময়সীমা নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে পিটিআই সূত্রে খবর, সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলতে পারে রাজ্যসভার অধিবেশন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর হায়দরাবাদে সেলফ আইসোলেশনে আছেন বলে অধিবেশনের সময়সীমার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।


লোকসভা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, করোনা আবহে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই যাতে সদস্যরা অধিবেশন চলাকালীন বসতে পারেন, তার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার চেম্বার ও গ্যালারি ব্যবহার করা হবে। সেখানে বসবেন লোকসভার সদস্যরা।


৩১ জানুয়ারি সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। পরদিন বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ফের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৪ মার্চ থেকে, চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।


করোনা আবহে প্রথমবার সংসদের অধিবেশন হয়েছিল ২০২০ সালে। সেবার করোনাবিধি মেনেই হয়েছিল বাদল অধিবেশন। রাজ্যসভার অধিবেশন বসেছিল দিনের শুরুতে এবং বিকেলে হয়েছিল লোকসভার অধিবেশন। গত বছর বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় গতবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ, বাদল অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশনে একই সময়ে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন হয়েছিল।