কলকাতা: বালিগঞ্জ (Ballygunge By Poll) ও আসানসোলে (Asansol By Poll) উপনির্বাচনের আগের দিন ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা (Law and Order Situation) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar)। তাঁর প্রশ্ন, জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলররা বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কোথায়।  সেইসঙ্গেই রাজ্যের ইমেজ মেকওভারের বার্তা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।  


আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচন: আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনেও ইস্যু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। অমিত শাহ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পর এবার রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ রাজ্যপালের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যপালের প্রশ্ন এই প্রথম নয়। এদিন তিনি বলেন, "একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ইমেজ মেকওভার করতে হবে। সেই সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের অবস্থা এমন হয়েছে যে সাধারণ মানুষ ভাবছেন তাহলে আমাদের কী হবে? সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের এই হাল হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?''


আনিস খান হত্যাকাণ্ড থেকে পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে এরাজ্যে। আবার রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান খুন ও তারপর ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। যে ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ৯ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সবশেষে মগরাহাটে এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ দু’জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুন। পুরসভা ভোটের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।


রাজ্যকে কটাক্ষ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর: এই আবহে আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আগেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত শনিবার আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের হয়ে প্রচারে এসে সেই আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতেই তৃণমূলকে কড়া আক্রমণের পথে হাঁটলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ১০টা খুন পশ্চিমবঙ্গে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, এই বিবৃতি দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা যে আদৌ আর নেই, এটাই বাস্তব।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: ফের ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যে