জয়দীপ হালদার, কাকদ্বীপ: রাজ্যে (WestBengal) আবারও এক মহিলাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা। গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। বাঁচার জন্য চিত্কার করেন নির্যাতিতা। প্রতিবেশী বাইরে বেরিয়ে আসায় বেঁচে যান নির্যাতিতা, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বর্তমানে নির্যাতিতা মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার। ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্তে পুলিশ।
মহিলাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা: নদিয়ার হাঁসখালির পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ। নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে যখন তোলপাড় রাজ্য, সেই সময় ফের আরও একবার ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। এবার কাকদ্বীপ। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় তিন দিন আগে। বর্তমানে ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে মহিলা শৌচাগারে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল শৌচাগার। ৪ থেকে ৫ জন মহিলা তার উপর আক্রমণ করে। হাত পা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁরই বাড়ির দোতলায়। এমনকী ওই মহিলার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই তাঁর গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশী সহ পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই ২ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের মামাল রুজু হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি গণধর্ষণ হয়েছে।
হাঁসখালির ঘটনায় গ্রেফতার স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে: এদিকে নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু। ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোড়ন। হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।