বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : জাহাঙ্গিরপুরীকাণ্ডের (jahagirpuri ) তদন্তে সামনে এসেছে বাংলার যোগ। ধৃত মহম্মদ আনসার (Md . Ansar) দিল্লির বাসিন্দা হলেও, হলদিয়ায় তাঁর বাড়ি রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বছরে এক-দু’বার এখানে আসেন আনসার। মঙ্গলবারই মহিষাদল থানায় আসে দিল্লির পুলিশের একটি দল। প্রশাসন সূত্রের খবর, আনসার-সহ ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসার। ধৃতদের মধ্যে আরও ৫ জনের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুধবার ফের মহিষাদল (Mahishadal ) থানায় গেলেন দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের দল। জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় অন্যতম ধৃত শেখ আসলাম মহিষাদলের কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা। ঘটনার মূল চক্রী মহম্মদ আনসারের মামার বাড়িও মহিষাদলের নামালক্ষ্যা গ্রামে। ফলে ধৃতদের সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে এই দুটি জায়গাতেও যেতে পারে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল।
হলদিয়ায় তার বিশাল বাড়ি
মূল অভিযুক্ত দিল্লির বাসিন্দা হলেও, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় তার বিশাল বাড়ি রয়েছে। দিল্লির ঘটনায় ধৃত মহম্মদ আনসার, সেলিম, ইমাম শেখ ওরফে সোনু, দিলশাদ , ও আহির-সহ এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, আনসার-সহ ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসার। হলদিয়ায় তার বাড়ি রয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আরও ৫ জনের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তের জন্য মঙ্গলবারই পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছে দিল্লি পুলিশের ৩ সদস্যের এক দল। শনিবার, হনুমান জয়ন্তীর দিন একটি শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকা। ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর, থেকে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়।
গলায় ও হাতে মোটা-মোটা সোনার গয়না
সেই ঘটনায়, নাম জড়ায় মহম্মদ আনসারের। পেশায় ছাট-লোহার ব্যবসায়ী আনসার। কিন্তু, তাঁর বিলাসবহুল জীবন-যাপন, যে কারও নজর কাড়বে। গলায় ও হাতে মোটা-মোটা সোনার গয়না। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় পাঁচ তলা বাড়ি! পুরো বাড়িটাই CCTV ক্যামেরার মোড়া। ঘরে ঘরে এসি।
অভিযোগ, রাজ মালহোত্রার নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে আনসারের। সেখানে, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আনসারের ছবিও রয়েছে! এই আনসারের বাড়ি রয়েছে হলদিয়ার কুমারপুর গ্রামে।
দিন পনের আগে, এই বাড়িতে এসেছিলেন আনসারের স্ত্রী। এখন সেই বাড়ি তালাবন্ধ।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, আদতে অসমের বাসিন্দা হলেও হলদিয়ায় শ্বশুরবাড়ির কাছে বাড়ি করেছে আনসার। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকবছরের মধ্যে উল্কার গতিতে উত্থান হয় তার। গত ৪-৫ বছর ধরে দিল্লিতে থাকলেও বছরে এক-দুবার হলদিয়ার বাড়িতে আসে আনসার। লকডাউনের সময় হলদিয়াতেই ছিল সে। এহেন আনসারকে গ্রেফতার করে হিংসার জাল খোলার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।