সমীরণ পাল, নিমতা: নিরাপত্তার আশ্বাসে ৪ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিমতার চিকিৎসক। তাঁর বাড়ির সামনে বসেছে পুলিশ পিকেট। বিনা চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নিমতা। বাড়ি ভাঙচুর করা হয় চিকিৎসকের। যদিও, মৃত্যুর জন্য এখনও চিকিৎসককেই দায়ী করছে মৃতের পরিবার।


বাড়ি ফিরলেন নিমতার চিকিৎসক: ৪ দিন বাড়িছাড়া ছিলেন। পুলিশি নিরাপত্তার আশ্বাসে, অবশেষে বাড়ি ফিরলেন উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার চিকিৎসক চিকিৎসক সংগঠনের সহযোগিতায়, মঙ্গলবার রীতিমতো মিছিল করে বাড়ি ফেরেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত নববর্ষের সকালে। রবীন কুণ্ডু নামের এক যুবক হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। অভিযোগ, পাড়ারই বাসিন্দা চিকিৎসক গৌরব রায়কে বারবার অনুরোধ করা হলেও, তিনি যুবকের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য আসেননি। এরপরই, বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তুলকালামকাণ্ড বেধে যায় নিমতায়।


ভাঙচুর হয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি, চিকিৎসককে উদ্ধার করতে এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। সেদিন থেকেই বাড়ি ছাড়া ছিলেন চিকিৎসক গৌরব রায়। অভিযোগকারী চিকিৎসক গৌরব রায়ের দাবি, “আমাকে ফোনের পর সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলি। ওর মৃত্যুতে আমিও মর্মাহত।’’ মঙ্গলবার, চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন নিমতা থানায় যায়। সেখানে আসেন চিকিৎসক গৌরব রায়ও। এরপরই, উত্তর দমদম পুরসভা ও পুলিশের আশ্বাসে বাড়ি ফেরেন তিনি।


ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কৌশিক চাকি বলেন, “চিকিৎসক বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এটা অন্যায় নিরাপত্তার কথা।’’ উত্তর দমদম পুরসভা চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, “মানুষকে বুঝিয়েছি, এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।’’  যদিও, ছেলের মৃত্যুর জন্য এখনও চিকিৎসক গৌরব রায়কেই দায়ী করছে মৃতের পরিবার। মৃত যুবকের বাবা অমল কুণ্ডুর অভিযোগ,  “উনি চিকিৎসা করেননি। বারবার ডাকা হয় তবু আসেননি।‘’ নতুন করে যাতে চিকিৎসকের ওপর আর হামলা না হয়, তার জন্য বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: AC Launch: কলকাতার জলপথে নতুন আকর্ষণ বাতানুকূল লঞ্চ, গঙ্গাবক্ষে এবার ২০ আসনের ‘সাগরী’