সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ডেঙ্গি নিয়ে কার্যত তোলপাড় হচ্ছে রাজ্যে। নানা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে লাগাম দেওয়ার জন্য কাজ করছে বিভিন্ন পুরসভা এবং প্রশাসন। এবার এই নিয়ে বিতর্ক উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। দুয়ারে সরকার-এর মতো করে দুয়ারে ডেঙ্গি লিখে পোস্টার পড়ল সোদপুর স্টেশন চত্বরে।
সোদপুরে পোস্টার বিতর্ক:
দুয়ারে ডেঙ্গি, প্রতিদিন মশার তেল ছড়ানো হচ্ছে কি? কাউন্সিলরকে এই প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়ে পোস্টার পড়ল সোদপুর স্টেশন চত্বরে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুরসভা কিছুই করছে না, অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। ডেঙ্গি আগের তুলনায় কমেছে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
রাজ্যে ভয়ঙ্কর ডেঙ্গির বিপদ। এবছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে এই বছর এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। এই পরিস্থিতিতে, সোদপুর স্টেশন চত্বরে ডেঙ্গি নিয়ে এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দুয়ারে ডেঙ্গি শিরোনাম দিয়ে পোস্টারে লেখা হয়েছে, 'প্রতিদিন মশা মারার তেল পড়ছে দুয়ারে? প্রশ্ন করুন কাউন্সিলরকে।' নীচে লেখা স্বাধীনতা ৭৫ কর্তৃক প্রচারিত। এই ধরনের পোস্টার পড়তেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে নিশানা করেছে বিজেপি।
শুরু তরজা:
পানিহাটির বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, 'ডেঙ্গিতে পানিহাটি এগিয়ে। এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না। পুরসভা কাজ করছে না।' পানিহাটির তৃণমূল নেতা ও উপ পুরপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী বলেন, 'ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। ২৫৩ জন প্রথমে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন ৯ জন মাত্র আক্রান্ত। বাইরে থেকে ডেঙ্গি আনছে।'
পানিহাটি পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন। এর মধ্যেই ডেঙ্গি নিয়ে পুর এলাকায় পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কদিন আগেই ডেঙ্গি বিক্ষোভের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল নৈহাটি। ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, অথচ পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এই অভিযোগে নৈহাটি পুরসভার দিকে অভিযান চালায় বিজেপি কর্মীরা। পুরসভার সামনে তাঁদের পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিও বাধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। দলের মহিলা কর্মীদের উপরেও হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি ছিল, 'জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ'।
আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া, বিয়ে বাড়ির সামনে ফের বোমাবাজি