রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের পর এবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri News) বৈঠক করল আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। মোবাইলে মিস কলের (AAP Membership on Missed Call) মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহে জোড় দিচ্ছে আপ নেতৃত্ব। রাজনীতি বদলান, দেশ এমনিতেই বদলে যাবে, বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের (Arvind Kejriwal)। যদিও তাদের এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP)।  


২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটকে নজরে রেখে এগোচ্ছে আপ


দিল্লির পর সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবেও ক্ষমতায় এসেছে কেজরিওয়ালের দল। এবার আম আদমি পার্টির নজরে ২০২৩-এ বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। এই আবহে শুক্রবার জলপাইগুড়িতেও বৈঠক সারলেন আম আদমি পার্টির নেতারা। বিলি করা হল লিফলেট, যেখানে বলা হয়েছে, রাজনীতি বদলান, দেশ এমনিতেই বদলে যাবে। দলের জাতীয় আহ্বায়ক  কেজরিওয়াল বলেন, "প্রথমে দিল্লিতে ইনকিলাব হয়েছে। তারপর পাঞ্জাবে। এরপর গোটা দেশে হবে।"


পাশাপাশি আপের সদস্য হতে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিস কল দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে। আপ নেতাদের দাবি, গত এক মাসে এ রাজ্যের মোট এক লক্ষ ২১ হাজার জন মিস কল দিয়ে তাঁদের সদস্যপদ নিয়েছেন।  এর মধ্যে কোচবিহার জেলায় এক সপ্তাহে ৬৫০ জন সদস্য হয়েছেন। আলিপুরদুয়ার থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ২৭২ জন।


উত্তরবঙ্গে ভাল সাড়া মিলছে বলে দাবি আপের


বাংলায় আপের ইনচার্জ সঞ্জয় বসু বলেন, "২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন। শক্তিশালী সংগঠন হলে প্রার্থী দেব। অনেকে এসে জিজ্ঞেস করছেন কী পাব? বলছি, রাজনীতি বদলে দিন। তাহলেই বদলে যাবে দেশ। আমরা সরকারে আসি। সরকার  দেবে, কোনও রাজনৈতিক দল নয়। উত্তরবঙ্গে আমরা ভাল সারা পাচ্ছি।"


তবে আপকে এ রাজ্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। আবার বিজেপি-র দাবি, তৃণমূলই আপকে গুরুত্ব দিচ্ছে। জলপাইগুড়িতে বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "স্বাধীন দেশ, সবাই আসতে পারে। দিদিভাই বিজেপিকে ভয় পেয়ে এদের তোল্লা দিচ্ছে। বাংলার মাটি অনেক শক্ত মাটি। এখানে পদ্মফুল ফুটেছে। ঝাড়ু নিয়ে এসেও কিছু করতে পারবে না।"


আরও পড়ুন: Bhadu Sheikh Murder: ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের


লোকপাল বিল নিয়ে অন্না হাজারের সঙ্গে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে যাত্রা শুরু। তার পর দিল্লিতে ২০১৩ সালে  ক্ষমতায় আসে কেজরিওয়ালের দল। আগেও একবার বাংলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল আপ। পাঞ্জাব দখলের পর ফের এক বার বাংলায় সংগঠন বিস্তারে নজর দিয়েছে তারা।