রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (AbhishekBanerjee) ধমকের পর, বুধবার ময়নাগুড়িতে (Mainaguri), দোমোহনীর হাট পরিদর্শনে গেলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। শুনলেন রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভাব-অভিযোগ। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গোটা বিষয়টা নিয়ে সিপিএমের কোর্টে বল ঠেলেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছে বামেরাও (CPM)। 


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল ফল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নিয়ে নড়েচড়ে বসল জেলা পরিষদ। পরিদর্শনে এলেন খোদ সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতি। মঙ্গলবার ধূপগুড়িতে যাওয়ার সময়, ময়নাগুড়ির দোমোহনীর হাটে নেমে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যবসায়ীদের মুখে, হাটের রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ শুনে, তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করে, কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। 


এরপর বুধবারই দোমোহনীর হাটে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ। পরিদর্শনে আসা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির কাছে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের অভিযোগ জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শুনে, কর আদায়কারী কর্মীকে ডেকে পাঠান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি।


এরপর জেলা পরিষদের সচিব মোনালিসা মাইতিকে ফোন করেন সহ সভাধিপতি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের পর, জেলা পরিষদের শীর্ষকর্তাদের পরিদর্শন নিয়ে কটাক্ষ শোনা গেছে তৃণমূলেরই কর্মীর মুখে।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর রক্ষাকবচ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য


ময়নাগুড়ির তৃণমূলকর্মী রবীন ঘোষের কথায়, ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। ঠেলার নাম বাবাজি। কাল এমন ঠেলা পেয়েছে, যে আজ সবাই এসেছে... ২০১৪ সাল থেকে অভিযোগ করে আসছি। জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। বললে খুন করে দেবে। এবারও না হলে আন্দোলন করব। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অবশ্য গোটা বিষয়টা নিয়ে বামেদের কোর্টে বল ঠেলার চেষ্টা করেছেন। 


জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলছেন, বাম আমল থেকে হাটের খাজনা নিচ্ছে জেলা পরিষদ। অনেক টাকা জমা পড়েনি। বাম আমলে প্রচুর জমি দখল হয়েছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যের কথায়, এগুলো স্ক্রিপ্টেড। সামনে পঞ্চায়েত। তার ভিত্তিতে সাজানো হচ্ছে। কাঁচা অভিনয় করে ফেলেছেন ভাইপো। মানুষ ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না। শেষমেশ ব্যবসায়ীদের দাবি কি পূরণ হবে? হলে কতদিনে? সেটাই দেখার।