রাজা ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে স্কুলে ঢুকে ছাত্রকে 'অপহরণের চেষ্টা! তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ছুটির পর স্কুলে অপেক্ষা করছিল ছাত্র। জানা যায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি স্কুলে ঢুকে ছাত্রকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই দৌড়ে টিচার্স রুমে ঢুকে যায় ছাত্র, পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি, এমনটাই দাবি করেছেন পড়ুয়ার বাবা। স্কুলে নিরাপত্তা চেয়ে থানার দ্বারস্থ প্রধান শিক্ষক।
পড়ুয়ার বাবা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে নিতে আসেন এক টোটো চালক। এদিন কিছুটা দেরি হয় তাঁর। ছাত্রটি স্কুলের বারান্দাতেই অপেক্ষা করছিল, এই সময়েই অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি এসে ওই পড়ুয়াকে নিয়ে যেতে চায়। রাজি না হওয়ায় হাত ধরেও টানাটানি করে। এরপরই ছুটে টিচার্স রুমের সামনে চলে যায় ওই পড়ুয়া। পালিয়ে যায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি।
কলকাতাতেও পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টা: এই একই দিনে খাস কলকাতায়, রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে মারধর করে অপহরণের অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। লেক থানা (Lake Police Station) থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে, স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ স্কুল ছুটির সময় এখানে আসে ১০-১২জন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। অভিযোগ, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে জোর করে বাইকে তুলে অপহরণ করা হয়।
সহপাঠীরা বাধা দিলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায়, লেক থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যা হয়েছে তা স্কুলের বাইরে হয়েছে। সেখানে স্কুলের কোনও দায়িত্ব নেই। তবে, পুরো বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বারবার স্কুলের সামনে দুষ্কৃতীদৌরাত্ম চিন্তা বাড়িয়েছে। খাস কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি পরপর অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।